[ad_1]
দেশে ডলারের সংকট। এর অন্যতম কারণ- রপ্তানিকারকদের রপ্তানি আয় পুরোপুরি দেশে না আসা।
গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। রপ্তানিকারকরা দেশে এনেছে ৪৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক বছরে ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশে আসেনি।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) বাংলাদেশে ব্যাংকের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি)’ সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে রপ্তানি মূল্য মুদ্রা দেশে আনছেন না। অনেক ক্ষেত্রে রপ্তানি পণ্যমূল্য পরিশোধের জন্য ইচ্ছা করে সময় বাড়িয়ে দিচ্ছেন। ফলে বৈদেশিক বাণিজ্যের আর্থিক হিসাবে বড় ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। একই সঙ্গে বর্তমানে বড় সমস্যা ডলার সংকট ও মূল্যস্ফীতি। এ দুটির চাপ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক যে সব উদ্যোগ নিয়েছে তা বাস্তবায়নে ব্যাংকগুলোকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দিয়েছে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো তথ্য তুলে ধরে বলেন, গত অর্থবছরে ৫৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। কিন্তু দেশে এসেছে ৪৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এখানে ৯ বিলিয়ন ডলারের একটি ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এটা নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশ কিছু নীতিগত পরিবর্তন আনা হয়েছে; যার অনেক বিষয় পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। তবে আশা করা হচ্ছে, আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে এবং একটা ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
একটি সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রধান দুটি বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো সিআইবি। এটা নিয়ে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। কিছু কৌশলও আবার হাতে নেওয়া হয়েছে। দ্রুত বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে।
দ্বিতীয়টি হলো, ঋণের সুদ হার। কারণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ধীরে ধীরে ঋণের সুদ বাড়ছে। এ কারণে অন্যের ওপর একটি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের একান্ত সিদ্ধান্ত। ঋণের পাশাপাশি আমানতের সুদ হারও বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৩
জেডএ/এমজে
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
[ad_2]
Source link