[ad_1]
ইসরায়েলের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় রকেট হামলা হামলা চালিয়েছে ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। কিরিয়াত শমোনাসহ আশপাশের এলাকাগুলোয় এ হামলা করা হয়।
হামলার বিপরীতে বৃহস্পতিবার ভোরে লেবাননে দুটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল। গতকাল বুধবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি হিজবুল্লাহর আক্রমণের তথ্য জানায়।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) এক টাইমস অব ইসরায়েল দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েল ছাড়ার পরপরই উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় হিজবুল্লাহর রকেট হামলা তীব্র হয়।
এক বিবৃতিতে আইডিএফ বলেছে, উত্তর ইসরায়েলের তেল তুমরুস এলাকায় লেবানন থেকে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এরপর আমাদের সৈন্যরা লেবাননের ভূখণ্ডে হিজবুল্লাহর অবস্থানে পাল্টা গোলাবর্ষণ করে। উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের কিরিয়াত শমোনা এলাকায় টানা রকেট নিক্ষেপ করেছে হিজবুল্লাহ। অন্তত ৯টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এ সময় এলাকাগুলোয় সাইরেন বাজছিল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, লেবানন থেকে ছোড়া রকেটগুলোর চারটিকে বাধা দিতে সক্ষম হয়েছে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম। বাকিগুলোর মধ্যে একটি কিরিয়াত শমোনা এলাকা পড়েছে, সেখানে কেউ হতাহত হননি।
উত্তরাঞ্চলীয় শহর মেটুলা, মালকিয়া ও মানারা শহরে কয়েকটি ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে লেবাননের হিজবুল্লাহ। এ হামলায় ইসরায়েলিদের মধ্যে হতাহত হয়েছে কিনা তথ্য দেয়নি আইডিএফ।
এদিকে, লেবাননের আল মায়াদিন টিভি স্টেশন জানিয়েছে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোরে লেবাননে দুটি লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রগুলি কাফর শুবা ও ওদাইসেহের কাছাকাছি একটি অঞ্চলে নিক্ষেপ করা হয়। এ দুটি শহর ইসরায়েলি সীমান্তের কাছে লেবাননের দক্ষিণ অংশে অবস্থিত। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো তথ্য দেয়নি আল মায়াদিন।
এর আগে ইসরায়েলকে ‘সময় শেষ হয়ে গেছে’ বলে হুমকি দেয় মধ্যপ্রাচ্যের শিয়া অধ্যুষিত দেশ ইরান। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গাজার আল-আহলি আরব হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় ৫০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইসরায়েলকে এ হুমকি দেওয়া হয়। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান ইসরায়েলকে সতর্ক করে দিয়ে সময় শেষ হয়ে গেছে বাক্যটি উচ্চারণ করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও একটি পোস্ট দিয়েছেন আমিরাবদুল্লাহিয়ান। তিনি লিখেছেন, আল-আহলি হাসপাতালে ফিলিস্তিনের নিরীহ শিশু-নারীদের ওপর চরম নৃশংসতা চালিয়েছে ইসরায়েল। ওই হাসপাতালে এক হাজারেরও বেশি নিরপরাধ নারী-শিশু ছিল। তাদের ওপর বোমা ফেলে হত্যার মাধ্যমে ভয়ংকর অপরাধ করেছে ইহুদি রাষ্ট্রটি।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ভুয়া এই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্ব মানবতার ঐক্য গড়ে তোলার সময় এসেছে। তারা জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসআইএস এবং এর হত্যা যন্ত্রের চেয়েও ঘৃণ্য।
গাজায় আল-আহলি আরব হাসপাতালে হামলার ঘটনায় দখলদার ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্যও মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান। তার মতে, অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সদস্যদের উচিত ইসরায়েলের ওপর তেল ও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।
একই সঙ্গে গাজার আল-আহলি আরব হাসপাতালে মারাত্মক হামলার জন্য সমস্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করা। তিনি গাজায় ইসরায়েল কর্তৃক সংঘটিত কর্মকাণ্ডগুলোকে ‘সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে নথিভুক্ত করতে ইসলামিক আইনজীবীদের একটি দল গঠনেরও আহ্বান জানান।
গতকাল মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) রাতে আল-আহলি আরব হাসপাতালে হামলা চালানো হয়। এতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় সেখানকার প্রায় ৫০০ জন নিহত হন। ফিলিস্তিনিদের মতে, গত ৭ অক্টোবর সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে খারাপ হামলার মধ্যে এটি একটি। এ ঘটনার কাছাকাছি সময় ইসরায়েল সফর করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
হাসপাতালে হামলার ঘটনায় তিনি তার বন্ধু ‘রাষ্ট্রের’ ওপরই ভরসা রাখেন। এবং কাজটি ইসরায়েলের নয় বলেও মন্তব্য করেন। দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্ব অটুট বলেও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৩
এমজে
[ad_2]
Source link