[ad_1]
ঢাকা: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, শিশু শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে এবং ভিশন ২০৪১, স্মার্ট বাংলাদেশ, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নে অবদান রেখে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ প্রশস্ত করতে পারতেন।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘শেখ রাসেল দিবস’ উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, জন্মের পর থেকেই দীর্ঘ সময় পিতৃস্নেহ হতে বঞ্চিত থাকতে হয়েছে শিশু শেখ রাসেলকে। বাবা নামক ‘রাজনৈতিক বন্দির’ সাথে দেখা হতো কালেভদ্রে- কেন্দ্রীয় কারাগারে অথবা সেনানিবাসে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিশু বয়স হতেই শেখ রাসেলের মাঝে পরিমিতিবোধ, মানবতাবোধ, গুরুজনদের প্রতি সম্মানবোধ, পশু-পাখির প্রতি গভীর ভালোবাসা ইত্যাদি গুণাবলির বিকাশ ঘটেছিল।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশর ভবিষ্যতের নেতৃত্বকে ধ্বংস করার জন্য শিশু রাসেলকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যা করে নতুন শিশু রাষ্ট্র বাংলাদেশকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের আদর্শবিরোধী শক্তি কত নৃশংস হতে পারে শেখ রাসেলের হত্যার ঘটনা সেটা মনে করিয়ে দেয়। শেখ রাসেল দিবস শুধু একটি নিছক দিবস নয়, আজ একটি শপথের দিন।
সভাপতির বক্তৃতায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, দেশের ন্যায় বিদেশেও বাংলাদেশের সব মিশন এই তাৎপর্যময় দিনটিকে পালন করছে। বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে পুরো বিশ্ববাসী শহিদ শেখ রাসেল সম্পর্কে জানবে এবং সব শিশু-কিশোরের মাঝে শেখ রাসেলের অনুপ্রেরণা ছড়িয়ে পড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস।
সভার শুরুতে শেখ রাসেলকে নিয়ে প্রকাশিত বিশেষ সঙ্গীত ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সভা শেষে শহীদ শেখ রাসেলসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৩
টিআর/এএটি
[ad_2]
Source link