ফিলিস্তিনের পক্ষ নেওয়ায় বরখাস্ত দুই মুসলিম Somoybulletin

[ad_1]

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রভাব ফুটবলেও পড়তে শুরু করেছে। মুসলিম ফুটবলারদের মধ্যে অনেকেই সরাসরি ফিলিস্তিনের সমর্থনে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
কিন্তু এই মুখ খোলাই কাল হয়ে দাঁড়ালো ইউরোপের শীর্ষ লিগে খেলা দুই ফুটবলারের।  

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তথাকথিত ইহুদীবিদ্বেষী বক্তব্য রি-পোস্ট করায় আজ আলজেরিয়ান ফুটবলার ইউসেফ অটলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বরখাস্ত করেছে ফরাসি ক্লাব নিস। দুই দিন আগেই তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে ‘মহিমান্বিত’ করার অভিযোগ এনেছে স্থানীয় পুলিশ। সেই অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ। তারই প্রেক্ষিতে এবার ইউসেফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল নিস। লিগ ওয়ানের ক্লাবটি এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।  

ইউসেফের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একজন ফিলিস্তিনি ধর্মগুরুর একটি ভিডিও ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন। সেই ভিডিওতে ধর্মগুরুকে ইহুদীদের ধ্বংস করার আহ্বান জানানো হয়েছে। পরে অবশ্য ভিডিওটি সরিয়ে ফেলেন ইউসেফ। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, আরও কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছে তার জন্য। ইউসেফের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধর্মীয় পরিচয়ের মানুষজনের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন এমন অভিযোগ উঠেছে।

এর আগে গত রোববার ফ্রান্সের ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএফ) জানায়, তাদের পক্ষ থেকেও ইউসেফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফেডারশনের প্রেসিডেন্ট ফিলিপে দিয়ালো ইউসেফের পোস্ট করা বিষয়বস্তুর তীব্র সমালোচনা করেছেন। তবে রোববার পোস্ট ডিলিট করে সমালোচনার জবাব দিয়েছেন ইউসেফ। ইনস্টাগ্রামে তার ফলোয়ারদের উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, ‘আমি কোনোদিন ঘৃণা ছড়ানোর বার্তা সমর্থন করিনি। ‘

সম্প্রতি আলেজেরিয়ার জার্সিতে ম্যাচ খেলে ফ্রান্সে ফিরেছেন ইউসেফ। এরপরই তার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে নিস। ক্লাবের পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলে লিখিতভাবে ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে সম্মত হন ইউসেফ। কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষের মন তাতেও গলেনি। শেষ পর্যন্ত তাকে বরখাস্ত করা হলো। ২৭ বছর বয়সী ইউসেফ ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত নিসের জার্সিতে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১১৭ ম্যাচ খেলেছেন।

এর আগে গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ‘এক্স’-এ আলজেরিয়া ও ফিলিস্তিনের পতাকা পাশাপাশি রেখে একটি পোস্ট করেন ইউসেফ। এ নিয়েও ফ্রান্সে তাকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে।

এর আগে গতকাল ফিলিস্তিনের পক্ষ নেওয়ায় বরখাস্ত হন আরেক মুসলিম ফুটবলার আনোয়ার এল ঘাজি। নেদারল্যান্ডসের এই ফরোয়ার্ড খেলেন জার্মান ক্লাব মেইঞ্জের হয়ে। বুন্ডেসলিগার এই ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে কয়েক যুগ ধরে চলা লড়াই নিয়ে ভিন্নমত থাকতেই পারে। এটাকে তারা সম্মানও করে। কিন্তু এল ঘাজি সরাসরি প্রকাশ্যে একটি পক্ষ নিয়েছেন। ক্লাব তার সঙ্গে এ ব্যাপারে একমত নয় এবং দূরত্ব বজায় রাখার পথ বেছে নিয়েছে।

ডাচ তারকা এল ঘাজি অবশ্য তার পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছেন। কিন্তু দুই পক্ষ আলোচনার পর বরখাস্তের সিদ্ধান্ত এলো। সাবেক এই অ্যাস্টন ভিলা তারকা অবশ্য এরইমধ্যে শান্তির পক্ষে থাকার বার্তা দিয়ে আলাদা পোস্ট করেছেন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও অনেকে তার পক্ষে সোচ্চার হচ্ছেন।

এই দুজন ছাড়াও ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের জয় কামনা করায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের মরক্কান তারকা ফুটবলার নওসাইর মাজরাউই। তবে ক্লাবের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৩
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।



[ad_2]
Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *