বাংলাদেশ-ভারতসহ প্রতিবেশীদের বাণিজ্য কাজে Somoybulletin

[ad_1]

ঢাকা: ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক পারস্পরিক সুবিধার জন্য আরও কাজে লাগানো যেতে পারে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ৷

বুধবার (১৮ অক্টোবর) নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী মুম্বাইতে গ্লোবাল মেরিটাইম ইন্ডিয়া সামিট-২০২৩ এর দ্বিতীয় দিনে ‘ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অ্যান্ড কোস্টাল শিপিং: দি ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক সেশনে বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।  

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয় ৷

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অভ্যন্তরীণ নৌপথ সংযোগ ও উন্নয়ন, সামুদ্রিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, সরবরাহ ও পরিবহন ব্যবস্থায় জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি, সমগ্র অঞ্চল জুড়ে সংযোগের প্রতিটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এ ধরনের সামিট কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশের তিন দিকে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে, যার বিস্তৃতি ৪,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি। একদিকে মিয়ানমার। ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে ভারত, ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক পারস্পরিক সুবিধার জন্য আরও কাজে লাগানো যেতে পারে। অর্থনৈতিক সম্প্রীতি, সংযোগ এবং বাণিজ্যের দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়া অন্যতম।

ভারতের রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড হাইওয়েজ মন্ত্রী নিতিন গাদকারির সভাপতিত্বে এবং ভারতের ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় বন্দোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- ভারতের  আর্থ সায়েন্স মন্ত্রী কিরেন রিজিজু, পোর্ট, শিপিং ও ওয়াটারওয়েজ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আর লক্ষামানান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।

এর আগে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী গ্লোবাল মেরিটাইম ইন্ডিয়া সামিট ২০২৩ এর মিনিস্ট্রারিয়াল বৈঠকে অংশ নেন।

সেশনে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ভারতের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে একটি দৃষ্টান্ত পরিবর্তন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নীতি ও দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা উন্নয়নের এক নতুন দিগন্তে, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় উন্নয়ন প্রক্রিয়া যা আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করে। সম্প্রতি, আমরা রুপির মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করেছি। ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যসহ ভারত, বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। আমরা ভারত থেকে বছরে ১৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করি। পাট, তুলা, পেঁয়াজ, শাকসবজি, মাছ, জামাকাপড় থেকে শুরু করে আমাদের মধ্যে ব্যবসার জন্য শিল্প পণ্য, যন্ত্রপাতি, সার, আকরিক, খনিজ এবং কাঁচামালের আধিক্য রয়েছে। ২০২৭ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মূল্য ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বলে অনুমান করা হয়েছে। এত বড় আয়তনের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সুবিধার্থে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

উল্লেখ্য, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ১৭ অক্টোবর ভারতের মুম্বাইতে গ্লোবাল মেরিটাইম ইন্ডিয়া সামিট ২০২৩ এর উদ্‌বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন। ভারতের পোর্ট, শিপিং ও ওয়াটারওয়েজ এবং আয়ুষ বিষয়ক মন্ত্রী এ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানান। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা এ সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৩
এসকে/এসএম



[ad_2]
Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *