[ad_1]
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লুএইচও) জানিয়েছে ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি অভিযান শুরুর পর থেকে ৪১ বার অঞ্চলটির স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে তারা।
ডাব্লুএইচওর মুখপাত্র তারিক জাসারেভিচ জানিয়েছেন, ৭ অক্টোবর থেকে, গাজায় স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলোতে ৪১টি নিশ্চিত আক্রমণ হয়েছে।
সক্রিয় দায়িত্বে থাকা অবস্থায় মোট ১১ জন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী নিহত হয়েছেন এবং ১৬ জন আহত হয়েছেন। হামলা অব্যাহত থাকায় এই সংখ্যা বাড়তে পারে।
পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাসারেভিচ বলেন, এই অঞ্চলের হাসপাতালগুলো মাত্রাতিরিক্ত সংখ্যক রোগীকে সেবা দিতে লড়াই করছে, যা তাদের সক্ষমতা সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন। সংগ্রহ করা ওষুধ শেষ হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু গাজার সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে অসাধারণভাবে তাদের দায়িত্ব পালন চালিয়ে যাচ্ছেন। তদুপরি, গাজায় জ্বালানির একটি গুরুতর ঘাটতি দেখা দিচ্ছে, যা হাসপাতাল এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম চালানোর জন্য অপরিহার্য।
জাসারেভিচ জোর দিয়ে বলেন, উত্তর গাজার হাসপাতালগুলো খালি করার জন্য ইসরায়েলের দাবি বাস্তবায়ন করা বাস্তবিকভাবে অসম্ভব। তিনি বলেন লাইফ সাপোর্টে থাকা রোগী যেমন ইনকিউবেটরে নবজাতক, ভেন্টিলেটরে কেমো ডায়ালাইসিসের রোগী, গর্ভাবস্থায় জটিলতা নিয়ে আসে মহিলাদের সরানো যায় না। তাই, আমরা ইসরায়েলকে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাই। ডাব্লুএইচও এবং জাতিসংঘের অধিভুক্ত মানবিক সহায়তাকারী সংগঠন গুলোর আনা প্রায় ৮০ মেট্রিক টন অস্ত্রোপচারের সরঞ্জামসহ বিভিন্ন ওষুধ গাজায় সরবরাহের জন্য মিশরের রাফাহ সীমান্তে অপেক্ষমাণ। এই ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করাতে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে, পরিশেষে এই বৈরিতার অবসান দরকার যা মানুষের জীবন বাঁচাতে আমাদের সাহায্য করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৩
এমএম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
[ad_2]
Source link