[ad_1]
ভোলা: ঢাকা-চরফ্যাশন রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চ ফারহান-৬। এই লঞ্চে এক যাত্রী ঢাকা থেকে যাচ্ছিলেন চরফ্যাশনের দিকে।
রাত ১টার দিকে লঞ্চটি যখন চাঁদপুরের মোহনায় পৌঁছায়, সে সময় ওই যাত্রীর কাছে ঢাকা থেকে স্বজনদের ফোন আসে। ফোনে জানানো হয় তার মায়ের মৃত্যুর সংবাদ। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল ছেলের। এ পরিস্থিতিতে কীভাবে রাতে মায়ের কাছে ছুটে যাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান ছেলে। কারণ নদীর মাঝ থেকে কোনো উপায় ছিল না ঢাকায় ফেরার। লঞ্চ ফিরবে ভোরে, তাও চরফ্যাশন। ওই যাত্রী তখন লঞ্চের স্টাফদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি জানান। মায়ের মৃত্যুর দুঃসংবাদটি হৃদয় স্পর্শ করে স্টাফদের। তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করে কোম্পানির অপর একটি লঞ্চে উঠিয়ে দেন মা হারানো ওই যাত্রীকে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) মধ্য রাতের এমনি মানবিক ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন ওই যাত্রী। লঞ্চ কর্তৃপক্ষের এমন মানবতা নাড়া দিয়েছে অন্যদেরও।
ফারহান-৬ লঞ্চটির এক যাত্রী তজুমদ্দিনের বাসিন্দা সাদির হোসেন রাহিম বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমি ঢাকা থেকে লঞ্চে (ফারহান-৬) উঠি। মাঝ রাতে লঞ্চটির এক যাত্রীর মায়ের মৃত্যুর সংবাদ আসা হৃদয় বিদারক ঘটনা ও সেই যাত্রীর সহযোগিতায় লঞ্চ কর্তৃপক্ষের এমন মানবিকতা সত্যিই বিরল।
ফারহান-৬ লঞ্চের স্টাফ সজিব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ওই যাত্রীর মায়ের মৃত্যুর খবর জানতে পেরে আমরা মাঝ নদীতে লঞ্চ থামিয়ে দেই। পরে ঝালকাঠি থেকে ঢাকামুখী একটি লঞ্চে তাকে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৩
এসআরএস
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
[ad_2]
Source link