[ad_1]
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: এটা সত্য যে- প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিল্পবিপ্লবের কোনো সুযোগ আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। তবে চলমান চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোবাবিলা করতে হলে জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি দক্ষতা ও প্রায়োগিক শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে।
যাতে শিক্ষার্থীরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সফল অংশীদার হওয়ার পাশাপাশি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার অভিযাত্রায় শামিল হতে পারেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দর্শন বিভাগ ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত “Philosophy: Now and Here” প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চবির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে দিনব্যাপী এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
এতে অংশ নেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং দর্শন বিভাগের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। কনফারেন্সে মোট ৭টি একাডেমিক সেশনে ৫টি বিষয়বস্তুর ওপর ৩৫টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
ভারতের কেরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক গবেষক ছাড়াও বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়, বানারসি হিন্দু ইউনিভার্সিটি, আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি, যাদবপুর ইউনিভার্সিটি, বর্ধমান ইউনিভার্সিটিসহ আরও বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে গবেষকরা কনফারেন্সে যোগ দেন। এছাড়া দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ আয়োজক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকরা কনফারেন্সে অংশ নেন। পাশাপাশি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর ইউরোপীয় অধ্যাপকসহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা কনফারেন্সে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহযোগী অধ্যাপক মাসুম আহমেদ, মূখ্য আলোচক ছিলেন ভারতের কেরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জন ম্যাথিউ, বিশেষ অতিথি ছিলেন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বর্তমান প্রজন্ম যাতে ভোগবাদে ক্লান্ত কিংবা বস্তুবাদে দিকভ্রান্ত হয়ে নীতিভ্রষ্ট না হয়, সেজন্য তাদের নৈতিকতা-মূল্যবোধ ও প্রযুক্তিবান্ধব শিক্ষার মাধ্যমে সৎ জীবনচর্চায় অনুপ্রাণিত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০ অর্জনে, রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে, স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন রূপকল্প ২০৭১ অর্জনে এবং ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়নে দক্ষ ও জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তিনির্ভর, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ, মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন সৃজনশীল মানবসম্পদ তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে-এ প্রত্যাশা রইল।
বক্তারা আরও বলেন, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ, সমতাভিত্তিক মানবিক উন্নয়ন সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং জাতীয়-আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে বর্তমান শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্বসূরিদের মতো এ বিভাগের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ ও গৌরবময় করবেন; অতীতের মতো এ বিভাগের গ্র্যাজুয়েটরা আগামীতেও উদ্যোক্তা শ্রেণি তৈরি, ব্যবসা-বাণিজ্যে, জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চায়, গবেষণা-নতুনত্ব উদ্ভাবনে নবদিগন্তের দ্বার উন্মোচন করবেন-এটাই কাম্য।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৭ অক্টোবর চবির জারুলতলায় অনুষ্ঠিত হবে দর্শন বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব। এতে অংশ নিতে ইতোমধ্যে বিভাগের প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৩
এমএ/পিডি/টিসি
[ad_2]
Source link