[ad_1]
উত্তরাঞ্চলীয় গাজাসহ দক্ষিণের খান ইউনিস ও রাফায় সোমবার সকাল থেকে সারাদিন ইসরায়েলি বোমা হামলা থামেনি।
গত কয়েক ঘণ্টায় অ্যাম্বুলেন্সগুলো ডজন ডজন আহত লোক খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে।
এর মধ্যে বেশিভাগ শিশু।
হাসপাতালে উপচে পড়া ভিড়। পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। চিকিৎসাকর্মীরা আল জাজিরাকে বলেছেন, জায়গা সংকুলান, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে তাদের এখন এমন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে, কাকে বাঁচাবেন আর কাকে যেতে দেবেন।
হাসপাতালের বাইরের পরিস্থিতিও খুব বেশি আলাদা নয়। হাজার হাজার পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে হাসপাতাল অঙ্গনে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা যেখানে সেখানে আশ্রয় নিচ্ছেন, যেভাবে পারছেন, আশ্রয় নিচ্ছেন।
ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে গাজায় সোমবার পর্যন্ত দুই হাজার ৮০৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন ১০ হাজার ৮৫৯ জন।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গেল ২৪ ঘণ্টায় ২৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৬৪ শতাংশ নারী ও শিশু। এর মধ্যে ৩৭ চিকিৎসা কর্মী, চিকিৎসক, নার্স ও প্যারামেডিকস রয়েছেন।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। জবাবে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলে এক হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছেন, আর আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৫০০ জন। ‘
ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে পশ্চিম তীরেও ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর হয়েছেন এক হাজার দুইশরও বেশি।
ইসরায়েল এখন গাজা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সেখানে পানি, বিদ্যুৎ ও খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ইসরায়েল গাজা সিটিসহ উত্তর দিকের বাসিন্দাদের এলাকা ছাড়তে বলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৩
আরএইচ
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
[ad_2]
Source link