[ad_1]
কিসুমু: একজন মায়ের কাছে তাঁর সন্তান বার্ধক্যের ভরসা। মা অনেক প্রত্যাশা নিয়ে সন্তানকে লালন-পালন করেন। কেনিয়ার বাসিন্দা অ্যাগনেস নেসপন্ডিও এমনই কিছু ভেবেছিলেন হয়তো! তবে ভাগ্য যেন তাঁকে নিয়ে ছেলেখেলা করল!
প্রথমবার যখন মা হলেন তিনি, তখন তাঁর মনে অনেক প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু শিশুর জন্মের পর জানা যায়, সে অন্ধ। এর পর দ্বিতীয়বারের মতো মা হন তিনি। এবারও তিনি অন্ধ সন্তানের জন্ম দেন। একের পর এক এগারোটি অন্ধ সন্তানের জন্ম দেন অ্যাগনেস।
আরও পড়ুন- কোটিপতি ব্যক্তিকে বিয়ে করে ‘বিপাকে’ মহিলা! জানালেন, নিত্যদিনের ভয়াবহ কথা
কেনিয়ার কিসুমু গ্রামের বাসিন্দা অ্যাগনেস। তাঁর গর্ভ থেকে শুধু অন্ধ সন্তানের জন্ম হয়। তিনি এগারোটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এবং সকলেই অন্ধ। প্রায় ২১ বছর আগে তাঁর স্বামী মারা যায়। তার পর থেকে তিনি প্রতিটি শিশুদের দেখাশোনা করছেন।
একা এগারোটি সন্তানের যত্ন নেওয়া, তাঁদের অন্ন সংস্থান ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে সেই মায়ের পক্ষে। অ্যাগনেস তাঁর জীবন সম্পর্কে অনেক কিছু শেয়ার করেছেন। তিনি জানান, বিয়ের পর তাঁর জীবন সুখ-শান্তিতে ভরপুর ছিল।
প্রথমবার যখন গর্ভবতী হন তিনি, তখন পরিবারে খুশির অন্ত ছিল না। তাঁর প্রথম পুত্রসন্তান অন্ধ হয়েই জন্ম নেয়। শিশুটি দেখতে পায় না বলে প্রাথমিকভাবে ধরতে পারেননি চিকিৎসকরা। কিন্তু কিছুক্ষণ পর অ্যাগনেস ও তাঁর স্বামীর সন্দেহ হলে তাঁরা শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
অ্যাগনেস আরও দশবার গর্ভবতী হন। প্রতিবারই অন্ধ সন্তানের জন্ম হয়েছে। তিনি এবং তাঁর স্বামী একসাথে সমস্ত বাচ্চাদের দেখাশোনা করেছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় যখন অ্যাগনেসের স্বামী মারা যান।
আরও পড়ুন- এটিই পৃথিবীর সবথেকে দামী জিনিস! কী এটা, কী কাজ, দাম শুনলে অজ্ঞান হয়ে যাবেন
অ্যাগনেসের গ্রামবাসীরা বিশ্বাস করেন, তিনি অভিশপ্ত। কেউ তাঁর উপর কালা জাদু করেছেয। সেই জন্যই তাঁর সমস্ত সন্তান অন্ধ হয়ে জন্ম নিয়েছে।
এখন তাঁর প্রথম ছেলের বয়স চল্লিশ পেরিয়েছে। এত কিছুর পরও তিনি নিজেই সবার যত্ন নেন। তাঁর প্রতিটি সন্তান ভিক্ষাবৃত্তি করে অ্যাগনেসকে সাহায্য করেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Source link