[ad_1]
গগনচুম্বী অট্টালিকায় ভেসে দুঃসাহসী স্টান্ট দেখাতে ভালবাসতেন। দুঃসাহসী সেই খেলাতেই ছিলেন সিদ্ধহস্ত। জীবন বাজি রেখে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সেই খেলা দেখাতে গিয়েই সব কিছুর ঊর্ধ্বে চলে গেলেন ফরাসি স্টান্টম্যান রেমি লুসিডি। হংকং-য়ে ৬৮ তলা উঁচু বহুতল থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল ৩০ বছর বয়সি এই দুঃসাহসীর।
‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, লুসিডি চেষ্টা করছিলেন হংকং-য়ের ট্রেগান্টার টাওয়ার কমপ্লেক্স বেয়ে উঠতে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, সেখানেই ভারসাম্য হারিয়ে হাত ফস্কে নীচে পড়ে যান তিনি। ঘটনাস্থলেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মনে করা হচ্ছে, সবথেকে উঁচু ফ্লোরে পেন্টহাউসের বাইরে তিনি আটকে পড়েছিলেন। পাগলের মতো একটি জানালায় নক করছিলেন। আকুতি জানাচ্ছিলেন খুলে দেওয়ার। যাতে ভিতরে ঢুকে তিনি নিজেকে রক্ষা করতে পারেন।
কিন্তু তাঁর অসহায়তা বুঝতে পারেননি পেন্ট হাউসের ভিতরে থাকা পরিচারিকা। তিনি ভয়ের চোটে ফোন করেন পুলিশকে। এদিকে জানালা খোলা না পেয়ে নিজেকে আর বাঁচাতে পারেননি লুসিডি। অনুমান করা হচ্ছে, তাঁর হাত অবশ হয়ে আসে। তিনি ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান নীচে।
তদন্তকারী আধিকারিকদের থেকে জানা গিয়েছে সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ ওই বহুতলে দেখা গিয়েছে লুসিডি-কে। ফটকে তিনি দ্বাররক্ষীদের জানান যে ৪০ তম ফ্লোরে বসবাসকারী এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। বন্ধু হিসেবে যাঁর নাম তিনি বলেন, তাঁকে যোগাযোগ করে দ্বাররক্ষীরা জানতে পারেন লুসিডি বলে কারওর সঙ্গে পরিচয় নেই তাঁর। কিন্তু তত ক্ষণে বহুতলের লিফ্টে ঢুকে গিয়েছেন লুসিডি।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে বহুতলের ৪৯ তম তলে পৌঁছেছেন লুসিডি। তার পর তিনি সিঁড়ি বেয়ে পৌঁছন বহুতলের শীর্ষে। কিন্তু বহুতলের ছাদে তাঁকে দেখতে পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যা ৭.৩৮ মিনিট নাগাদ তাঁকে শেষ বার জীবিত অবস্থায় দেখা গিয়েছে। ওই কমপ্লেক্সের পেন্ট হাউসের জানালায় নক করছিলেন।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, পেন্টহাউসের বাইরে আটকে পড়েছিলেন লুসিডি। তবে তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও প্রকাশ করেনি পুলিশ। ঘটনাস্থলে পাওয়া গিয়েছে তাঁর ক্যামেরা। যেখানে বন্দি হয়ে আছে বহুতলে দেখানো লুডিসির আশ্চর্য কেরামতি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Hongkong, Remi Lucidi
Source link