স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রই সংকটের সমাধান: Somoybulletin

[ad_1]

ঢাকা: চলমান হামাস-ইসরায়েল সংঘাত থামাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বিশ্বে অন্যায়ের অভাব নেই কিন্তু ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচার অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে টেনেছে। এই সংকটে সমাধান হলো – দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান এবং একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) বাংলাদেশে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের সঙ্গে এক বৈঠকে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলে চীনের রাষ্ট্রদূত।

ফিলিস্তিন দূতাবাসে অনুষ্ঠিত ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন উল্লেখ করেন, চীন বিশ্বাস করে যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধ (ফিলিস্তিন-ইসরায়েল) বন্ধ করার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা করতে হবে। যুদ্ধ অবিরামভাবে ছড়িয়ে পড়া রোধ এবং পরিস্থিতির আরও অবনতি এড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। এই সময়ে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলা, বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেওয়া, যত দ্রুত সম্ভব একটি মানবিক উদ্ধার ও সহায়তার পথ খুলে দেওয়া এবং একটি গুরুতর মানবিক বিপর্যয় রোধ করা অপরিহার্য।

বৈঠকে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, দেশগুলোকে শান্ত থাকতে, সংযম অনুশীলন, ন্যায্য অবস্থান নেওয়া, সংঘাত কমানোর জন্য কাজ করাতে এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য আরও বড় আঘাত এড়াতে আহ্বান জানিয়েছে চীন। ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধানে জাতিসংঘকে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে, যত দ্রুত সম্ভব আন্তর্জাতিক ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে এবং এ লক্ষ্যে বাস্তব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

তিনি জানান, চীন সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে চীনা সরকারের বিশেষ দূত শিগগিরই এই অঞ্চলের প্রাসঙ্গিক দেশগুলি পরিদর্শন করবেন। সহিংসতা বন্ধ করতে এবং  উত্তেজনা পরিস্থিতি হ্রাস করার জন্য সক্রিয় প্রচেষ্টা চালাবেন। চীন শান্তির জন্য আন্তর্জাতিক ঐকমত্য গড়ে তোলা এবং ফিলিস্তিন প্রশ্নের একটি ব্যাপক, ন্যায্য ও দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও উল্লেখ করেন, ফিলিস্তিন ইস্যু মধ্যপ্রাচ্য সমস্যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ফিলিস্তিনের একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন বাস্তবায়নে দীর্ঘ বিলম্ব এবং ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য  ক্ষতিগ্রস্ত ঐতিহাসিক অবিচারের প্রতিকার ব্যর্থতার মধ্যে রয়েছে। ইসরায়েলের রাষ্ট্রত্বের অধিকার আছে, ফিলিস্তিনেরও আছে। ইসরায়েলিরা বেঁচে থাকার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে, কিন্তু ফিলিস্তিনিদের বেঁচে থাকার চিন্তা কে করবে? ইহুদি জাতি এখন আর গৃহহীন নয়, কিন্তু ফিলিস্তিনি জাতি কবে ফিরবে তার ঘরে? বিশ্বে অন্যায়ের অভাব নেই, কিন্তু ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচার অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে টেনেছে। এই সংকটের সমাধান হলো-  দ্বি-রাষ্ট্রীয়  সমাধান এবং একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও জোর দেন, ফিলিস্তিন প্রশ্নে, চীন শান্তির পক্ষে, ন্যায়বিচারের পক্ষে, আন্তর্জাতিক আইনের পক্ষে, বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের  আকাঙ্ক্ষার ভাগাভাগির  পক্ষে অবিরত থাকবে।  মানুষের বিবেকের পক্ষে থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৩,
টিআর/এসএএইচ



[ad_2]
Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *