[ad_1]
নেত্রকোনা: শিশুদের মেধাবী করে তোলার লক্ষ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক খেলা দাবা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে নেত্রকোনায়। নেত্রকোনা করিম দাবা একাডেমি’র উদ্যোগে জেলা শহরের বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
ফেডারেশন অনুমোদিত প্রথম স্কুল পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন দাবা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দাবাড়ু তৈরিতে খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শতবর্ষী পুরোনো শহরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র তন্ময় মজুমদার। রানার্সআপ হয়েছে আঞ্জুমান সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী জয়ন্ত সরকার ও তৃতীয় হয়েছে সাতপাই উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী শুভ রজক।
রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে টুর্নামেন্ট পরিচালক দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ বি এম শাহজাহান কবীর সাজু প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তাদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।
এ সময় হিমু পাঠক আড্ডার পরিচালক সাংবাদিক আলপনা বেগম, একাডেমির পরিচালক (কোচ) জাতীয় পর্যায়ের দাবাড়ু আজাহারুল করিম ও সহকারী পরিচালক দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ে শরীর চর্চা বিষয়কশিক্ষক আরিফ রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় দাবা একাডেমির পরিচালক জানান, ক্ষুদে দাবাড়ু তৈরি করতেই এই প্রতিযোগিতা। এটি খেলে বুদ্ধি বাড়াবে।
বিভিন্ন অপকর্ম থেকে নিজেদের বিরত রাখতে পারবে। এ খেলায় পারদর্শী হলে শিশুরা ভালো মন্দ দুটোর পার্থক্য করতে পারে। এইটা মূলত ব্রেনের খেলা।
এ খেলায় বুদ্ধি বাড়ে। তাই এটিকে বুদ্ধিবৃত্তিক খেলা হিসেবে জানে সবাই।
টুর্নামেন্ট পরিচালক দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবিএম শাহজাহান কবীর সাজু বলেন, বুদ্ধিবৃত্তিক এই খেলা খেললে শিশুদের বুদ্ধির চর্চা হয়।
এটি পড়াশোনার জন্য ভীষণ সহযোগী হয়। যে যত বেশি দাবা খেলবে সে তত বেশি মেধাবী হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি মেধার চর্চার মাধ্যমে এক পর্যায়ে রাজনৈতিক সামাজিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে নতুন প্রজন্ম।
আর তাই প্রতিটি স্কুলে দাবা খেলার চর্চা করানোটাই জরুরি বলে তিনি মনে করেন। এই খেলার মাধ্যমে ধৈর্য শক্তির উন্নতি ঘটে। ছেলে মেয়েরা কু পথে ধাবিত হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২০
এসআরএস
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
[ad_2]
Source link