[ad_1]
ঢাকা: মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
রোববার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাতটা ৪ মিনিটের দিকে সব নিয়মকানুন শেষ করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে তারা বেরিয়ে যান।
কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার (ভারপ্রাপ্ত) সুভাষ কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে, তাদের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছানো মাত্রই সব নিয়মকানুন মেনে তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হয়। তারা কারাগারের ভেতরে শাপলা ভবনে ছিল।
উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের হওয়া এক মামলায় তাদের দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছিল, ২০১৩ সালে হেফাজতের শাপলা চত্বরে সমাবেশে ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার। এ ঘটনায় একই বছর ১০ আগস্ট গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম। ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক আশরাফুল আলম আদিলুর ও নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
পরদিন ৫ ঢাকার সিএমএম বিকাশ কুমার সাহা মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে পাঠান। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। সেই মামলায় আদিলুরকে গ্রেপ্তার দেখানোর পাশাপাশি পলাতক আসামি নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
পরবর্তীতে অবশ্য আদিলুর রহমান খান ও নাসিরুদ্দিন এলান দুজনই জামিনে মুক্তি পান৷
২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সেই মামলায় দীর্ঘ আট বছর পর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ওইদিন সাক্ষ্য দেন ডিবির তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (বর্তমানে সিআইডির পরিদর্শক) আশরাফুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ৬১ জনের মৃত্যুর বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে আসামি আদিলুর ও এলানের প্রতিবেদন জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের অপচেষ্টা। তাদের প্রতিবেদন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি দেশে-বিদেশে চরমভাবে ক্ষুণ্ণ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৩
এজেডএস/এসআইএ
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
[ad_2]
Source link