[ad_1]
ঢাকা: এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্পের কারণে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল রাজধানীর ব্যস্ততম ফার্মগেট ওভারব্রিজ। সেতু বিভাগের অর্থায়নে এখানে নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টি নন্দন নতুন ফুট ওভারব্রিজ যা পথচারী চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
ফুটওভার ব্রিজটি সুপ্রাশস্ত হওয়ায় আনন্দিত হলেও বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী পথচারীদের পারাপারের জন্যে স্বয়ংক্রিয় সিঁড়ি বা এলিভেটরের দাবিও তুলেছেন ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারকারীরা।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টা এই ফুটওভার ব্রিজ উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এরপর এটি পথচারীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
ফুটওভার ব্যবহারকারী পথচারীরা বলেন, দীর্ঘদিন পর ফুটওভার ব্রিজটি চালু হওয়াতে ভালো লাগছে। নতুন ডিজাইনের একটি প্রসস্থ ব্রিজ দেখছি। দেখলাম নিরাপত্তার জন্য ভালো মানের সিসি ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে। তবে বর্তমানে অধুনিক ব্রিজ হিসেবে এতে এক্সেলেটর ও অসুস্থদের জন্য লিফট থাকলে ভালো হতো।
এছাড়া শঙ্কা রয়েছে ফুটওভার ব্রিজটি হকারদের দখলে চলে যাওয়ার।
এ বিষয়ে আশিক কুণ্ডু নামের এক পথচারী বলেন, ফার্মগেট ব্যস্ততম এলাকা হওয়ায় প্রচুর মানুষ ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করেন। কিন্তু এখানে হকারদের উপদ্রব বেশি। তারা যেন এটি দখলে নিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে সেটার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
মূলত রাজধানীর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণের জন্য প্রায় দেড় বছর আগে ব্যস্ততম ফার্মগেট এলাকায় আগের ফুটওভার ব্রিজটি ভেঙে ফেলা হয়েছিল। ফলে ব্যস্ততম কাজী নজরুল ইসলাম সরণি সড়ক পার হতে পথচারীদের বিড়ম্বনার পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকি পোহাতে হতো। ব্রিজটির নির্মাণ কাজ প্রায় তিন মাস আগে শেষ হলেও তা বিভিন্ন কারণে খুলে দিতে বিলম্ব হয়।
ব্রিজটি নির্মাণের জন্য ঢাকা এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ ২০ কোটি টাকা অর্থায়ন করেছে। আর প্রায় ১৪ কোটি ব্যয়ে নির্মাণ কাজ করেছে ডিএনসিসির তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড।
ঢাকার মধ্যে এটিই সবচেয়ে সুপ্রশস্ত ফুটওভার ব্রিজ। ব্রিজটি প্রায় ১৮ ফুট চওড়া। এখানে রয়েছে ৬টি পকেট, যেখানে দাঁড়িয়ে নিচের রাস্তাসহ আশাপাশে দেখতে পারবেন পথচারীরা। আপতত ফুট ওভার ব্রিজটির দুই দিকেই শুধু ৩টি সিঁড়ি বসানো হয়েছে।
তবে পরে ফুটওভার ব্রিজের দুই প্রান্তেই এক্সেলেটর এবং লিফট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে জানানো হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে শুধু সিঁড়ি স্থাপন হয়েছে। এছাড়া ওঠা-নামার স্থানে অস্থায়ী দোকানের জন্য প্লাজা নির্মাণসহ ব্রিজের নিচে ‘বাস বে’ ও ‘কার ড্রপ’ এরও সুবিধা রাখা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, ১৫ অক্টোবর, ২০২৩
এনবি/এমএম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
[ad_2]
Source link