[ad_1]
মুম্বই: আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ১৪১-তম ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) সেশন। আর তা অলিম্পিক এবং ভারত উভয়ের জন্যই এক বড়সড় ভূমিকা পালন করতে চলেছে। কারণ ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে যে, ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক প্রোগ্রামে ক্রিকেটের পাশাপাশি অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে ফ্ল্যাগ ফুটবল, বেসবল এবং সফটবলও।
সংবাদমাধ্যমের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, অলিম্পিকের ২০২৮ সংস্করণে মহিলা এবং পুরুষদের টি২০ ম্যাচ রাখা হচ্ছে। যা আইওসি-র সামনে এশিয়ান উপমহাদেশীয় লাভজনক বাজার খুলে দেবে। অলিম্পিকসে যদিও আগে একবারই ক্রিকেট খেলা হয়েছিল। তা-ও সেটা ১৯০০ সালে প্যারিসে। ওই সময় মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্স।
আরও পড়ুন: আইওসি অধিবেশন আয়োজনের দায়িত্ব ভারতের, এই সাফল্যে অগ্রণী ভূমিকা নীতা আম্বানির
ক্রিকেটের জন্য সবথেকে বড় মার্কেট হিসেবে গণ্য করা হয় ভারতকেই। আর সেই ক্রিকেটকে অলিম্পিকসে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হতে পারে মুম্বইয়ের আইওসি অধিবেশনে। প্রসঙ্গত আইওসি সেশন হল অলিম্পিকের কাজকর্মের প্রধান সিদ্ধান্তগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান। এখানে অলিম্পিক চার্টার গ্রহণ কিংবা সংশোধন, আইওসি সদস্য ও পদাধিকারীদের নির্বাচন এবং অলিম্পিকের আয়োজনকারী শহর বাছাই করার মতো গ্লোবাল অলিম্পিকস মুভমেন্টের মূল কার্যক্রমগুলি সম্পর্কে আলোচনার পাশাপাশি সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হয়।
বর্তমানে আইওসি অধিবেশনে ৯৯ জন ভোটদানকারী সদস্য এবং ৪৩ জন অবৈতনিক ও সম্মাননীয় সদস্য রয়েছেন। খেলার দুনিয়ার অভিজাতদের মধ্যে প্রায় ৬০০ জনেরও বেশি সদস্য মুম্বইয়ে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা। সেই সঙ্গে ৫০টিরও বেশি খেলার প্রতিনিধিত্বকারী ১০০টি দেশ থেকে আগত গ্লোবাল মিডিয়াও যোগ দেবে ওই অধিবেশনে।
আর দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর পরে ভারতে আইওসি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এর আগে ১৯৮৩ সালে নয়াদিল্লিতে ৮৬-তম আইওসি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এদিকে নীতা আম্বানিই প্রথম ভারতীয় মহিলা, যিনি আইওসি-র সদস্যপদে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বেজিংয়ে অনুষ্ঠিত ১৩৯তম আইওসি অধিবেশনে নীতা আম্বানির নেতৃত্বে এক ভারতীয় একটি আকর্ষণীয় পিচ তৈরি করেছিল। আর এর পরেই প্রায় ৯৯ শতাংশ ভোট-সহ বিডের জন্য অপ্রতিরোধ্য সমর্থন পেয়েছিল মুম্বই। আইওসি-র আসন্ন মুম্বই অধিবেশনটি ভারতীয় ক্রীড়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
কারণ এটিই বিশ্ব ক্রীড়া মানচিত্রে ভারতের স্থান মজবুত করতে পারে। সেই সঙ্গে একাধিক সুযোগ-সুবিধার দ্বারও উন্মুক্ত করতে পারে। যার মধ্যে অন্যতম হল খেলার ইভেন্টের আয়োজন, বিশ্বমানের প্রশিক্ষণের পরিকাঠামো, প্রতিভার বিকাশে সহায়তা এবং লক্ষ লক্ষ ভারতীয় ক্রীড়াবিদের জীবন সমৃদ্ধ করা। এখানেই শেষ নয়, এটি ভারতের স্বপ্ন পূরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপও হতে চলেছে। কারণ ভবিষ্যতে ইউথ অলম্পিক এবং অলিম্পিক গেমস আয়োজন করার স্বপ্ন বরাবরই লালন করেছে ভারত।
নীতা আম্বানি বলেন যে, “ক্রীড়া সব সময়ই গোটা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য আশা এবং অনুপ্রেরণার আলোকবর্তিকা।” তিনি আরও বলেন, “আজ আমরা বিশ্বের কমবয়সী দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। আর ভারতের যুব সম্প্রদায় যে অলিম্পিকের জাদুকে উপভোগ করবে কিংবা সেই বিষয়টার অভিজ্ঞতা অর্জন করবে, এটা ভেবেই আমি উচ্ছ্বসিত। পরবর্তীকালে এই পার্টনারশিপকে আরও মজবুত করে তোলাই আমাদের স্বপ্ন। সেই সঙ্গে আগামী দিনে ভারতে অলিম্পিক গেমস আয়োজিত হবে। এই আশাটাও রাখছি।”
মুম্বইয়ের জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই অধিবেশনটি। নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টার (এনএমএসিসি)-তে হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি। আর এক্সিবিশন হল (প্যাভিলিয়ন)-এ অনুষ্ঠিত হবে অধিবেশনের বৈঠক। প্রসঙ্গত, মুম্বয়ের বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্সের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টার। আর এটাই ভারতের সবথেকে বড় কনভেনশন সেন্টার। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের গোড়ার দিকে এটি চালু করা হয়েছিল।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: IOC, Nita Ambani, Olympics, Reliance Foundation
Source link