৩৯৫০ টনের মধ্যে ভারত পেল ৫৬০ টন বাংলাদেশের Somoybulletin

[ad_1]

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি ইলিশের কদর অনেক। পদ্মা-মেঘনার ইলিশের স্বাদ নিতে মুখিয়ে থাকেন কলকাতাবাসী।

সারাবছর না মিললেও দুর্গাপূজায় সেখানের বাসিন্দারা স্বাদ নিতে পারেন বাংলাদেশের ইলিশের।

গত কয়েক বছরের ন্যায় এবারও দুর্গাপূজা উপলক্ষে কলকাতায় রপ্তানি হয়েছে বাংলাদেশের ইলিশ। তবে এবার ধাপে ধাপে ৩৯৫০ টন রফতানি করার কথা থাকলে এখন পর্যন্ত ভারতে গেছে মাত্র ৫৬০ টন ইলিশ।

এ তথ্য জানিয়ে কলকাতার ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আনোয়ার মাকসুদ বলেন, এবারে কথা ছিল ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশের। কিন্তু সব মিলিয়ে মাত্র ৫৬০ মেট্রিক টন। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। এখন দেখার ২ নভেম্বের পর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ইলিশ আমরা পাচ্ছি কি না? 

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় দূতাবাসে চিঠিও দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

আনোয়ার মাকসুদের প্রশ্ন, বছরে ৬ -৭ লাখ মেট্রিক টন ইলিশ আহরণ হয় বাংলাদেশে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ মাত্র ৪-৫ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ চাইছে। এটা কি খুব বড় চাহিদা?  দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে বহু পণ্য আমদানি -রপ্তানি হয়। তার সঙ্গে বছরে না হয় ৩-৪ হাজার টন ইলিশ যুক্ত হবে। এতে আমি কোথাও সমস্যা দেখছি না। এতে বরং দুই বাংলার সম্পর্কে আরও ভালো হবে।

তবে এবার এতো কম পরিমাণ ইলিশ গেলেও যে কলকাতায় তেমন ক্রেতা পাওয়া যায়নি তা স্বীকার করলেন আনোয়ার মাকসুদ। এজন্য বেশি দামকেই দুষলেন তিনি।

বললেন,  আমাদের পাইকারি বাজারে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫, ১৬,১৭শ’ রুপি করে। এই দামে যদি পাইকারি বাজারে বিক্রি হয় তবে খুচরা বাজারে কত দামে বিক্রি হবে? যে কারণে দাম বেশি পড়ছে। বাংলাদেশের ইলিশের চাহিদা তো আছে। কিন্তু এত দাম দিয়ে সাধারণ মানুষ মাছ খাবেও না, কিনবেও না। সে কারণে খুব একটা কাটেনি বাংলাদেশের ইলিশ।

জানা গেছে, বাংলাদেশের ইলিশ কলকাতার খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ১৮শ’ থেকে ২ হাজার রুপি কেজিতে। কোথাও ছাড়িয়ে গেছে ২২শ থেকে ২৫শ রুপি। ফলে দাম এবারে সাধারণেরর নাগালের বাইরে যাওয়ায় প্রায় একপ্রকার মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে প্রতিবেশীর ইলিশ থেকে।

খুচরা মাছ ব্যবসায়ী চন্দন বলেন, মাছ বাজারে কাটেনি। বরফ দিয়ে রাখতে গিয়ে লাভের গুড় পিঁপড়া খেয়েছে। কেনা দামটুকু তুলতে পারিনি। পরের বার ভাবব বাংলাদেশের ইলিশ আর তুলব কিনা। এভাবে ব্যবসা হয় না।  

তবে ইলিশ আরও আসতে থাকলে দাম কমে যেত বলে জানালেন ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক।  

তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম লস পুষিয়ে নিতে পারব। পরে তো জানলাম, মাছ আসাই বন্ধ হয়ে যাবে। সে কারণে পরেরবার বাংলাদেশের ইলিশ তুলতে গেল দশবার ভাববো।

তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এটা আমাদের ব্যবসা। তাই ধৈর্য ধরে থাকতে হবে। আমরা আশাবাদী আগামী বছর সব হয়ত ঠিক হবে। আমরা সব বিষয়টাই নিয়ে কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসকে জানিয়েছি। আমরা চাইছি অন্যান্য পণ্যের মতো ব্যবসায়িকভাবে ভারতে ইলিশ আসুক। শুধু পূজা উপলক্ষে নয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৩
ভিএস/এসএএইচ



[ad_2]
Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *