চল্লিশ বছর পরে ভারতে আইওসি অধিবেশন কীভাবে সম্ভব করলেন নীতা আম্বানি? তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ আইওসি প্রেসিডেন্টও – News18 Bangla Somoybulletin

[ad_1]

মুম্বই: দীর্ঘ চল্লিশ বছর পরে ভারতের বুকে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)-র অধিবেশন। আর এর পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন নীতা আম্বানি। আইওসি হল অলিম্পিক কার্যক্রমের প্রধান সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংগঠন। এই কমিটিই অলিম্পিকের চার্টার তৈরি, সংশোধন, আইওসি সদস্য ও পদাধিকারী নির্বাচন এবং অলিম্পিকের আয়োজনকারী দেশ নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

২০১৬ সালে আইওসি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন নীতা আম্বানি। আর তিনিই প্রথম ভারতীয় মহিলা, যিনি এই পদ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন নীতা আম্বানি দেশের যুব ক্রীড়ার অগ্রগতিতে বরাবরই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছেন।

আরও পড়ুন– ‘রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়, জেগে উঠছে ভারতের অলিম্পিক চেতনা’, মন্তব্য থমাস বাখের

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চিনের বেজিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৩৯-তম আইওসি অধিবেশন। নীতা আম্বানির নেতৃত্বে এক ভারতীয় একটি আকর্ষণীয় পিচ তৈরি করেছিল। আর এর পরেই প্রায় ৯৯ শতাংশ ভোট-সহ বিডের জন্য অপ্রতিরোধ্য সমর্থন পেয়েছিল দেশের অর্থনৈতিক রাজধানী।

আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের যুব ক্রীড়ার অগ্রগতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন নীতা আম্বানি। ক্রীড়া সংক্রান্ত তাঁর উদ্যোগ দেশের ২.১৫ কোটি যুব তারকার কাছে পৌঁছে গিয়েছে। মুম্বইয়ের অলিম্পক অধিবেশনকে তিনি ‘উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন’ হিসেবেই আখ্যা দিয়েছেন।

নীতা বলেন, ‘‘৪০ বছর অপেক্ষার পর ভারতে অলিম্পিক অধিবেশন হতে চলেছে। ২০২৩-এর আইওসি অধিবেশন মুম্বইতে করার সুযোগ দিয়ে ভারতের প্রতি যে আস্থা রাখা হয়েছে, তার জন্য আমি ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ!” তিনি আরও বলেন,”ভারতে অলিম্পিক উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন তো বটেই, ভারতীয় ক্রীড়ার জন্যও নতুন যুগের সূচনা হবে।”

আরও পড়ুন- মাত্র ২১ বছরে আইপিএস; কোচিং ছাড়াই প্রথম প্রচেষ্টায় সফল ইউপিএসসি এই তরুণ পরীক্ষার্থী

আইওসি সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে একাধিক আইওসি কমিশনেও নিজের জায়গা করে নিয়েছেন নীতা। শুধু তা-ই নয়, তিনি ওই সংগঠনে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও দক্ষতার দিশাও খুলে দিয়েছেন — অলিম্পিক চ্যানেল (২০১৭ – বর্তমানে চলছে), অলিম্পিক এডুকেশন (২০১৭ – বর্তমানে চলছে) এবং কালচার ও অলিম্পিক হেরিটেজ (২০২০ – বর্তমানে চলছে)।

ক্রীড়াবিদরা একেবারে গোড়ার পর্যায় থেকে যাতে অভিজাত পর্যায়ে যেতে পারে, সেই ক্ষমতায়নের বিষয়েও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নীতা আম্বানি। ১৯ জন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন অ্যাথলিটদের মধ্যে প্রায় ১১ জন চলতি বছরের এশিয়ান গেমসে পদক জিতেছেন। ভারতে আসা সমস্ত পদকের প্রায় ১৩ শতাংশ।

আসন্ন মুম্বই অধিবেশনের আগে ১২ অক্টোবরের একজিকিউটিভ কমিটি বৈঠকে আইওসি প্রেসিডেন্ট থমাস বাকও অলিম্পিক এবং ভারতের ক্রীড়া কার্যক্রমের ক্ষেত্রে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ও আইওসি সদস্য নীতা আম্বানির ভূমিকা নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন।

থমাস বাক বলেন, “আমাদের আইওসি সহকর্মী এবং বন্ধু নীতা আম্বানির সঙ্গে আমি রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ঘুরে দেখেছি। তাঁরা শিশু এবং তরুণ সম্প্রদায়ের শিক্ষা আর ক্রীড়ার বিষয়ে যা যা উদ্যোগ নিয়েছেন, সেটাও দেখেছি। আর বলতেই হচ্ছে যে রিলায়েন্স এবং তাঁর (নীতা) টিমের এই কাজ দেখে আমার সত্যিই খুব ভাল লেগেছে। কারণ এখানে ওই কেন্দ্রে আমি গোটা ভারত থেকে আগত শিশুদের দেখেছি। আর এদের মধ্যে অধিকাংশই এসেছে দরিদ্র পরিবার থেকে।”

আইওসি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “ওই শিশুরা স্কুল স্তরের শিক্ষা পাচ্ছে। সেই সঙ্গে তারা ক্রীড়াবিদ হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণের সুযোগ-সুবিধাও পায়। আর এর মধ্যেই অলিম্পিক মূল্যবোধ এবং আমাদের লক্ষ্যের একটা প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। আর এটা সম্ভব করছে একটা বেসরকারি সংস্থা। যার নাম রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন। এই বিষয়টা আমার কাছে খুবই চিত্তাকর্ষক এবং উৎসাহদায়কও বটে।”

Published by:Siddhartha Sarkar

First published:

Tags: IOC, Nita Ambani

[ad_2]
Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *