[ad_1]
রাজশাহী: বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরকে রাজশাহী তথা বাঙালি জাতির গর্বের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরটিকে শুধু একটি জাদুঘর নয়, একইসঙ্গে এটিকে একটি গবেষণাকেন্দ্র হিসেবেও উল্লেখ করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
আগামীতে বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরের উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজশাহীতে হেরিটেজ ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই আশ্বাস দেন তিনি।
বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর প্রাঙ্গণে দুই দিনব্যাপী হেরিটেজ ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে তিনি রাজশাহী অঞ্চলের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, একটি দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা যায়, সেই দেশের জাদুঘরের মাধ্যমে। যারা ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিচর্চায় কাজ করেন, জাদুঘরের মাধ্যমে ভবিষ্যতে তাদের মেধা ও জ্ঞানের পরিধি আরও বিকশিত হবে। তাই নতুন প্রজন্মকে দেশের ইতিহাস জানতে জাদুঘর পরিদর্শনের আহ্বান জানান।
রাজশাহী অঞ্চলের প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্য উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর নয়; পুঠিয়া রাজবাড়ী, বাঘা শাহী মসজিদ, কিছু পুরাতন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মন্দিরসহ আরও অনেক কিছু এ অঞ্চলে আছে; যা রাজশাহীর ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নিদর্শন হিসেবে স্বমহিমায় বহন করে চলেছে। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালে সরকার জিআই পণ্যের বিষয়ে একটি আইন তৈরি করেছে। এর ভিত্তিতে আমাদের জিআই পণ্যের তালিকা করা হচ্ছে, যেখানে রাজশাহী অঞ্চলের উৎপাদিত নানান পণ্য সেরা অবস্থানে আছে। এ অঞ্চলে একশরও বেশি প্রজাতির আম আছে, এখানে নানা ধরনের সিল্ক আছে।
এই হেরিটেজ ফেস্টিভ্যাল বা ঐতিহ্যের উৎসবে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, পরবর্তী প্রজন্মকে ঐতিহ্যের বিষয়ে আগ্রহী করে তুলবে এই উৎসব।
উৎসবে ব্রিটিশ কাউন্সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর টম মিসয়েসা বলেন, রাজশাহী ও আশপাশের কয়েকটি জেলায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন প্রকল্পের তরুণরা।
অনুষ্ঠানের সভাপতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যাল্যের উপাচার্য ও বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরের উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার আয়োজনের সফলতা কামনা করেন।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের আওয়ার শেয়ার্ড কালচারাল হেরিটেজ প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত দুই দিনের উৎসবে থাকছে পুঁথিপাঠ, গম্ভীরা, সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর নৃত্য, প্রদর্শনী ও প্যানেল আলোচনাসহ নানান আয়োজন।
সন্ধ্যায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিল্পীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় নাটক নীলমণি। আর পরে মঞ্চ মাতান অনেস্বরের শিল্পীরা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরের অংশীদারিত্বে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও এ ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করছে সিসিডি বাংলাদেশ ও উড়ন্ত আর্টিস্ট কমিউনিটি।
রোববার (১৫ অক্টোবর) দ্বিতীয় দিন ফেস্টিভ্যালের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছেন রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
দিনভর নানা আয়োজনের পর সন্ধ্যায় মঞ্চ মাতাবেন জনপ্রিয় ফোক ব্র্যান্ড এলকেজি কোয়ার্টেট।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৩
এসএস/এএটি
[ad_2]
Source link