[ad_1]
বোয়িং ড্রিমলিফটার। যেমন নাম, তেমনই দেখতে। একেবারে স্বপ্নের মতো। তবে এগুলো যাত্রীবাহি বিমান নয়, মালবাহী। বোয়িংয়ের বড় বড় যন্ত্রাংশ পরিবহনের জন্য ড্রিমলিফটার বিমান ব্যবহার করা হয়। বিশ্বের যে কোনও বিমানবন্দরেই দেখা মিলতে পারে ছুঁচলো মুখের এই বিমানের।
ড্রিমলিফটারের ক্ষমতা দেখলে চোখ কপালে উঠবে। এর কার্গো বে ভলিউম সাধারণ মালবাহী বিমানের চেয়ে তিন গুণ বেশি। ওজনও বইতে পারে অনেক। তবে অন্যান্য ৭৪৭ মালবাহীর থেকে খুব একটা আলাদা নয়। ড্রিমলিফটারে প্রধানত বিমানের ডানাগুলো নিয়ে যাওয়া যায়। তবে মজার বিষয় হল, এর রেঞ্জ স্ট্যান্ডার্ড ৭৪৭-এর তুলনায় কম। সাধারণ ৭৪৭ মালবাহী বিমান ৭৬০০ এনএম পর্যন্ত যেতে পারে। সেখানে ড্রিমলিফটারের রেঞ্জ ৪২০০ এনএম।
আরও পড়ুন- শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ভয়ঙ্কর ‘সুনামি’র সতর্কতা, জাপানে জারি ‘হাই অ্যালার্ট’!
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট FlightAware-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোট চার রকমের ড্রিমলিফটার বিমান রয়েছে। এই বহরকে পরিচালনা করে ‘অ্যাটলাস এয়ার’। এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক এয়ারলাইন, যা মালবাহী এবং চার্টার পরিষেবায় বিশেষজ্ঞ।
আরও পড়ুন- দুর্ঘটনা নাকি খুন? ফাঁস হয়ে গেল শ্রীদেবীর মৃত্যুর আসল কারণ! ভয়ঙ্কর সত্য সামনে আনলেন বনি কাপুর
সাউথ ক্যারোলিনার চার্লসটন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে ঢুকলে ড্রিমলিফটার বিমান দেখা যাবে। দক্ষিণ ক্যারোলিনার কেন্দ্রীয় উপকূলে অবস্থিত চার্লসটন শহর। এখানেই মার্কিন বিমান এবং নৌ বাহিনীর ঘাঁটি। বিমানবন্দরটি বেসামরিক বিমানের পাশাপাশি সামরিক বিমানের জন্যও ব্যবহৃত হয়। বোয়িংয়ের ড্রিমলাইনার এয়ারক্রাফট ম্যানু ফ্যাকচারিং বিভাগও এখানেই। উল্লেখ্য, ড্রিমলাইনার প্রোগ্রামকে সাহায্য করার জন্যই ড্রিমলিফটার তৈরি করা হয়েছিল। তাই চার্লসটন শহরকে ড্রিমলিফটারের ‘ঘর’ বলা যায়।
টেড স্টিভেনস অ্যাঙ্কারেজ ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দর হল ড্রিমলিফটারের ‘সেকেন্ড হোম’। এই বিমানবন্দর এশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে কার্গো অপারেশনের স্টপিং পয়েন্ট। এখানে ড্রিমলিফটারে জ্বালানি ভরা হয়। বদল হয় ক্রু। এরপর রয়েছে চুবু সেন্ট্রায়ার ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। ড্রিমলিফটার বহরের তৃতীয় হটস্পট। আরও দুটি বিমানবন্দরে ড্রিমলিফটার দেখা যায়। সেগুলি হল দক্ষিণ-পূর্ব ইতালির ট্যারান্টো-গ্রোত্তাগ্লি বিমানবন্দর এবং কানসাসের উইচিটাতে ম্যাককনেল এএফবি। সাপ্তাহিক ভিত্তিতে পিকআপের জন্য ড্রিমলিফটারের বিমানবন্দর নির্ধারণ করা হয়।
চার্লসটন এয়ারপোর্ট, অ্যাঙ্করেজ ইন্টারন্যাশনাল, চুবু সেন্ট্রায়ার এবং ট্যারান্টো-গ্রোত্তাগ্লি বিমানবন্দরে ড্রিমলিফটারের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। সিয়াটেলের পেইন ফিল্ড এবং পোর্টসমাউথ, নিউ হ্যাম্পশায়ারের পাশাপাশি বিশ্বের অনেক বিমানবন্দরেই ঘুরতে হয় অদ্ভুত দর্শন এই বিমানকে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Source link