ভারতের মতো দেশের কি আদৌ অলিম্পিক আয়োজন করা উচিত? আশার আলো কোথায় Somoybulletin

[ad_1]

মুম্বইঃ ৪০ বছর পর ভারতে আয়োজিত হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির (আইওসি)-র অধিবেশন। ১৫ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত মুম্বইতে এই অধিবেশন চলবে। সলতে পাকানোর কাজটা অবশ্য শুরু হয়েছিল ২০২২ সালে, নীতা আম্বানির নেতৃত্বে।

এই বছর ভারতে এমন একটা অধিবেশনের আয়োজন করার খানিকটা বিশেষত্ব রয়েছে। বলা হচ্ছে ২০৩৬ সালের অলিম্পিক আয়োজনের জন্য প্রস্তাব পেশ করতে পারে ভারত। ২০২৮ লস এঞ্জেলেস অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে ক্রিকেট। সেক্ষেত্রে ভারতের গুরুত্ব বাড়বে।

আরও পড়ুনঃ অলিম্পিক এনে দিল সুযোগ, ক্রিকেটের সামনে খুলে যাবে বিশ্বের দরজা

আসলে এতদিন পর্যন্ত আমেরিকার বাজারের দিকে তাকিয়ে ছিলেন অলিম্পিক উদ্যোক্তারা। সেখানে ক্রিকেটের গুরুত্ব কম। ইদানীং নজর ঘুরছে। ভারতের মতো দেশের ক্রীড়ামোদীদের যে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে তারই প্রমাণ এই ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তিকরণের প্রস্তাব।

অলিম্পিক আয়োজনের জন্য নিলামে যোগ দিতে গেলে যথেষ্ট খরচ করতে হয় কোনও দেশকে। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকের জন্য খরচ করতে হয়েছিল ৫ লক্ষ ডলার। ফলে ভারতের মতো দেশে সেটা একটা বড় বিষয়।

এর আগে ১৯৮৩ সালে প্রথমবার অলিম্পিক কমিটির অধিবেশনের আয়োজন করা হয়েছিল এদেশে। তারপর ক্রীড়া ক্ষেত্রে ভারতের অনেকখানি অগ্রগতি হয়েছে। প্রমাণ সদ্য সমাপ্ত হাংঝো এশিয়ান গেমস। প্রথমবার ১০৭টি পদক ঘরে তুলেছে ভারত। এর আগেরবার ২০১৮ সালে প্রাপ্তি তালিকায় ছিল মাত্র ৩৭টি পদক। এই উন্নতির পিছনে একযোগে কাজ করছে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগ।

এই পরিস্থিতিতে ভারত যদি একটা সফল অলিম্পিকের আয়োজন করতে পারে, তাহলে গোটা জাতির পক্ষে সেটা একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। একটা প্রজন্ম বহন করবে সুফল। তবে সব সময় যে সাফল্য আসবেই এমনটা নয়। বরং, এটাই সত্যি যে অর্থনৈতিক দিক থেকে কোনও অলিম্পিকই লাভজনক বলে প্রমাণিত হয়নি। ব্যতিক্রম, ১৯৮৪ সালের লস এঞ্জেলেস বা ১৯৯২ সালের বার্সেলোনা অলিম্পিক।

এমনকী প্রবল সমস্যা তৈরি হয়েছে আয়োজক দেশে, এমন দৃষ্টান্তও রয়েছে। যেমন ২০০৮ বেজিং অলিম্পিকের জন্য সেদেশের প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মানুষকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছিল। লন্ডন অলিম্পিকের সময়ও নাগরিকরা দৈনন্দিন কাজে বাধা পেয়েছেন। লন্ডন টিউব ব্যবহার করায় প্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। ক্রীড়া পরিকাঠামো তৈরি করা হলেও তা শেষ পর্যন্ত নষ্টই হবে। কারণ ওই আন্তর্জাতিক পরিকাঠামো ধরে রাখতে চেষ্টা করলেও বছরের পর বছর করদাতা নাগরিকের উপর চাপ বাড়বে। ফলে অনেকেই মনে করতে পারেন এটা ভারতের মতো দেশে একটা বিলাসিতা মাত্র।

আরও পড়ুনঃ ‘রাশিয়ার আইওসি সদস্যদের সঙ্গে সে দেশের সেনার কোনও যোগ নেই, ইউক্রেনের উপর হামলাকেও তাঁরা সমর্থন করেন না…’ দাবি আইওসির

কিন্তু সব কিছুরই ভাল এবং খারাপ দিক থাকে। এক্ষেত্রেও রয়েছে। দরিদ্র দেশে এমন কোনও পরিকল্পনা করা যাবে না ভাবা হলে সেই দেশ এগোবেই বা কী করে! তাছাড়া, একবার পরিকাঠামো তৈরি করা হলে ভারতের উচিত যাতে তা রক্ষা করা যায়। তার ফলে ক্রীড়া ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানের প্লাটফর্ম রক্ষা করা যাবে। আন্তর্জাতিক তারকারাও সেখানে আসতে পারবেন। আখেরে লাভ ভারতেরই।

এই পরিস্থিতিতে নিজেদের ভুল বা অন্য দেশের ভুল থেকেই শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন। ১৯৮২ সালে জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এখন সেখানে বড় বড় আয়োজন করা হয়। এটা একটা দৃষ্টান্ত হতেই পারে।

সব থেকে বড় বিষয় হল, ভারতে অলিম্পিক আয়োজন করা হলে এদেশের ক্রীড়াবিদরা উৎসাহিত হবেন।

Published by:Salmali Das

First published:

Tags: IOC, Mukesh Ambani, Nita Ambani, Olympics, Reliance Foundation

[ad_2]
Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *