বিটিএস কি?
ঢাকায় আসছে বিখ্যাত কোরিয়ান ব্যান্ডদল বিটিএস । সারাবিশ্ব যাদের নিয়ে তোলপাড়, বিশ্বের সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ডগুলো তাদের বিপণনের জন্য যাদের পেছনে পেছনে ছোটে, তার নাম বিটিএস। সর্বোচ্চ বাজেটের কনসার্ট করে এই কোরিয়ান ব্যান্ডদল। যাদের একটি সিঙ্গেল রিলিজ হলে মুহূর্তের ভেতরে ট্রেন্ডিংয়ে চলে আসে। সেই বিখ্যাত ব্যান্ডদল বিটিএস এবারে আসছে ঢাকায়! প্রখ্যাত ইভেন্ট কোম্পানি অন্তর শোবিজের কর্ণধার স্বপন চৌধুরী সেই প্রত্যাশার কথা বলেছেন । উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ব্যাচেলরদের তালিকাতেও তারাই রয়েছে।
ব্যান্ডদল বিটিএস কবে ঢাকায় আসবে?
তরুণ-তরুণীরা এই খবরের সাথে সাথে নিজেদের চোখ যে বিষ্ময়ে ওপরে তুলবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু বিটিএস-এর ওয়ার্ল্ড ট্যুরের তালিকা ২০২৪ পর্যন্ত বুকড। তবে কীভাবে বিটিএস এই সময়ে ঢাকায় আসবে? এমন প্রশ্নে অন্তর শোবিজের কর্ণধার স্বপন চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা অফিশিয়ালি যোগাযোগ করেছি। তাদের ম্যানেজারের সাথেও কথা হয়েছে। তারা ২০২৩ সালের প্রথমভাগে একটি সময় বের করবেন বলে জানিয়েছেন এবং বাংলাদেশে তাদের কাজের পোর্টফোলিও দেখাবেন, এদেশে ব্যান্ডদল-এর ক্রেজ সম্পর্কে জেনেই তারা ২০২৩ সালে আসবে।
আমরা এ বছরের শেষদিকে তারিখ চূড়ান্ত হলে তা গণমাধ্যমসহ সকলের কাছে খবরটি পৌঁছে দিতে পারবো। এই কোরিয়ান ব্যান্ডদল নিজেদের জনপ্রিয়তার পাশাপাশি ব্যান্ডের ভাঙাগড়া, নানা কন্ট্রোভার্সিতেও মুখর থাকে সারাবছর। এই ব্যান্ডদলের দর্শক মূলত টিএজ । বিশেষ করে ১৫-২৩ বছরের তরুণ-তরুণীরা সারাবিশ্বে তাদের গান ও লাইফ স্টাইলের প্রতি ভীষণ অনুরক্ত। স্বপন চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমি শাহরুখ খানকে এদেশে এনে ইভেন্ট করিয়েছি, আদনান সামীসহ বিশ্বখ্যাত তারকারা এসেছেন।
আরো পড়ুন: প্রেমের টানে ভারত থেকে বরিশালে ,তবুও মিলেনি ভালোবাসা
তাই আমি অথেনটিক জায়গায় কথা না বলে এই আশ্বাস দিচ্ছি না। বাংলাদেশে শ্রোতা-দর্শক এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে পারেন, এই ব্যান্ডদল-এর পারফর্মেন্স দেখার জন্য।’ উল্লেখ্য, বিটিএস, এর সমালোচক হওয়া সত্ত্বেও, টাইম ম্যাগাজিন এই কোরিয়ান ব্যান্ডদল-কে ২০১৭ সালে ইন্টারনেটের ২৫টি সবচেয়ে প্রভাবশালী নামের একটি হিসেবে স্থান দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০১৯ ও এর ব্যতিক্রম ছিল না। ব্যান্ডটি ২০১৮ সালে ম্যাগাজিনের ‘নেক্সট জেনারেশন লিডারস’ তালিকায়ও স্থান পেয়েছেএকই বছর ফোর্বসের কোরিয়ার শক্তি সেলিব্রিটিদের তালিকায় শীর্ষে উঠে আসে বিটিএসের নাম! তারা ২০১৯ সালে ‘ব্ল্যাকপিঙ্ক’-এর কাছে প্রথম স্থানটি হারিয়েছিল কিন্তু ২০২০ এবং ২০২১ সালে এটি আবার ফিরে পেয়েছে। এই তীব্র জনপ্রিয়তার কারণে, বিটিএস সম্পর্কে আলোচনা থামছে না।
আমাদের ফেসবুক পেইজ: somoybulletin