পিজ্জা তৈরি করার সহজ উপায় ও উপকরন সমূহ

পিজ্জা কি?

পিজ্জা তৈরি করার সহজ উপায় জানতে হলে আগে জানতে হবে পিজ্জা আসলে কি! সাধারণত গোলাকার, সমতল বেসের গম ভিত্তিক ময়দা টমেটো, পনির এবং অন্যান্য উপাদান দিয়ে যা কাঠের চালিত চুলায় প্রচলিতভাবে উচ্চ তাপমাত্রায় বেক করা হয় তাই পিজ্জা। সুস্বাদু পিজ্জা তৈরি খ্যাতি সারা বিশ্বে। আধুনিক পিজ্জা ১৮ বা ১৯ শতকে ইতালির নেপলসে উপস্থিত হয়েছিল। এক সময় এটি কে বলা হতো নেপোলিটান পাই। নেপোলিটান পাই থেকে এখন পিজ্জা নামে পরিচিত।

ভালো মানের পিজ্জা কোথায় পাওয়া যায়?

পিজ্জা দেখলে ছোট বড় সবার জিভে জল চলে আসে। তাই পিজ্জা বানানোর রেসিপি গুলো জানা থাকলে আপনিও বানাতে পারবেন। সাধারণত রেস্টুরেন্ট এবং ফাস্টফুড হাউস গুলোতে এই খাবার বেশি পাওয়া যায়। আবার অনেকে ঘরে তৈরি করে থাকেন। তবে ঘরে তৈরি করা পিজ্জা এত সহজ নয়। কারণ বাসায় ভালো মানের ওভেন থাকতে হয় আবার এটি তৈরি করার জন্য ময়দা, টমেটো, পনির এবং অন্যান্য উপাদান ও জিনিসপত্র লাগে। আপনি যদি বাসায় বসে পিজ্জা তৈরি করতে চান তাহলে পিজ্জা তৈরি করার সহজ উপায় সমূহ ভালো করে জেনে নিন।

পিজ্জা তৈরি করার সহজ উপায়
পিজ্জা তৈরি করার সহজ উপায় ও উপকরন সমূহ

পিজ্জা তৈরির করার উপকরণ সমূহ:

পিজ্জা বানানোর উপকরণ এর মধ্যে ময়দা – ২ কাপ, হালকা গরম জল – ১/২ কাপ, হালকা গরম দুধ – ১/২ কাপ, খামির – ১ টেবিল চামচ, লবণ – ১/২ টেবিল চামচ, চিনি – ১ কাপ, সয়াবিন তেল – ১ টেবিল চামচ।

পিজ্জা ফিলিং প্রিপারেশনঃ ছোট কাটা মুরগির মাংস- ১ কাপ, পেঁয়াজ কুঁচি- ১/২ কাপ, কাঁচা মরিচ কুঁচি- পরিমাণ মতো, ক্যাপসিকাম কুঁচি- ১/২ কাপ, টমেটো কুচানো- ১/২ কাপ, আদা বাটা- ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া-১/২ টেবিল চামচ, ধনে গুঁড়া-১/২ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল- ৪ টেবিল চামচ, টমেটো সস-৫ টেবিল চামচ, পনির গুঁড়ো – ১ কাপ, লবণ – স্বাদমতো, লেবুর রস – ১ টেবিল চামচ, কালো জলপাই – ২ (ইচ্ছা অনুযায়ী)।

আরো পড়ুন… দ্রুত ওজন কমানোর সহজ উপায়

পিজ্জা তৈরি করার সহজ উপায় ও প্রস্তুতি:

প্রথমে ১ টেবিল চামচ খামির হালকা গরম জলে ১০ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখুন। এবার কুসুম গরম দুধ, ময়দা, চিনি, লবণ ও খামির এক সাথে করে পানিতে ভালো করে মিশিয়ে নিন। আপনি যেভাবে রুটির ময়দা তৈরি করেন ঠিক সেভাবেই আপনাকে পিজ্জার ময়দা তৈরি করতে হবে। ময়দা ভালোভাবে ছড়িয়ে যাওয়ার পর গরম জায়গায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা ঢেকে রেখে দিন।

ভরাট প্রস্তুতি: সর্ব প্রথমে আপনাকে একটি ফ্রাইং প্যানে তেল গরম করতে হবে। এবার আদা বাটা, রসুনের পেস্ট, জিরা গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, লবণ একসঙ্গে ভালো করে মেশাতে হবে। তারপর এতে মুরগির মাংস দিতে হবে। মাংস সিদ্ধ হয়ে গেলে পেঁয়াজ গুঁড়া, টমেটো গুঁড়া, ক্যাপসিকাম গুঁড়া ও টমেটো সস দিয়ে ভালো করে নাড়তে হবে। এবার লেবুর রস ও লঙ্কা গুঁড়ো দিন। ৪-৫ মিনিট নাড়াচাড়া করে চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে।

পিজ্জা বানানোর সহজ উপায় ও উপকরন সমূহ
পিজ্জা বানানোর সহজ উপায় ও উপকরন সমূহ

পিজ্জা তৈরি হওয়ার পর কিভাবে সাজাবেন:

আশা করি আপনি পিজ্জা তৈরি করার সহজ উপায় সমূহ খুব ভালো করে শিখে গেছেন। এখন জেনে নিন তৈরি করার পর কিভাবে সাজাতে হয়। সাধারনত পিজ্জা সাজাতে বা সুন্দর্য বৃদ্ধি করতে জলপাই, ক্যাপসিকাম, টমেটো আপনার পছন্দ মতো কেটে নিতে হবে। পিজ্জা পাফ পেস্ট্রি চারটি সমান ভাগে ভাগ করতে হবে। প্রতিটি অংশ রুটির মত বেলে দিতে হবে।

এবার ফ্রাইং প্যানটি চুলায় বসাতে হবে। ফ্রাইং প্যান গরম হলে পাউরুটির একপাশ ছেঁকে নিতে হবে। এবার রুটি উল্টে প্রথমে রুটির উপর টমেটো সস দিন। এরপর মাংসের ভর্তা রুটির ওপর ছড়িয়ে দিতে হবে। এখন আপনাকে চূর্ণ পনির ছড়িয়ে দিতে হবে। এবার পিজ্জার উপরে টুকরো টুকরো টমেটো, ক্যাপসিকাম এবং কালো জলপাই দিতে হবে। এবার গরম গরম কেটে পরিবেশন করুন সুস্বাদু মজাদার প্যান পিজ্জা। পিজ্জা তৈরি করার সহজ উপায় সমূহ মূলত এই বিষয় গুলোকেই বুঝানো হয়েছে।

পিজ্জা বানানোর রেসিপি
পিজ্জা বানানোর রেসিপি ও উপকরন সমূহ

পিজ্জা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা:

উপকারিতা: পিজ্জা মূলত জাঙ্ক ফুড। এসব খাবারে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন এবং ফ্যাট থাকে তাই এগুলো খেলে আপনার ওজন বাড়ার সম্ভাবনা বেশি হতে পারে। এতে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থে ব্যাবহার করা হয় যাতে পিজ্জা সুস্বাধু হয়।

অপকারিতা: পিজ্জা সারা বিশ্বে একটি জনপ্রিয় খাবার হয়ে উঠেছে। এই পিজ্জা প্রায় সব শহরেই একটি জনপ্রিয় খাবার। যারা ফাস্টফুড ভালোবাসে তাদের জন্য পিজ্জা খুবই মজার খাবার। এগুলো খেলে আপনার ওজন বাড়বে ঠিকই কিন্তু সেটা আপনার উপকারের বদলে ক্ষতিটাই বেশি হতে পারে। পিজ্জা, বার্গার বা ফার্স্ট ফুডের খাবার কখনোই ভাল খাবার নই। এতে মোটা নয় বরং আপনার চর্বি হবে, গ্যাস হবে, যাকে আমরা বলি মেদ বা ভূড়ি।

মতামত:

অনেক খাদ্য প্রেমী ফাস্টফুডের দিকে ঝুঁকে পড়ে এবং ফাস্টফুড খাবার তাদের নেশায় পরিণত হয়। যদি আপনার বাড়িতে ছোট বাচ্চা থাকে তারা একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে তারা ফাস্ট ফুডে আসক্ত হয়ে পরে। যদি তাই হয়, তাহলে ফাস্টফুড না খেয়ে সেই খাবার ঘরে বানাতে পারেন। তাহলে ক্ষতি একটু হলেও কম হবে। এই মুহূর্তে পিজ্জা খুব জনপ্রিয় একটি ফাস্ট ফুড। ছোট বা বড় সবাই পিজ্জা পছন্দ করে। তাই এই পিজ্জা আপনি বাড়িতে তৈরি করতে পারেন। তাহলে স্বাস্থের ক্ষতির পরিমান টা কমে যাবে।

উপরের উল্লেখিত বিষয় সমূহ সাধারনত পিজ্জা তৈরি করার সহজ উপায়। তবে উল্লেখিত বিষয় সমূহ নিত্যনতুন পরিবর্তন হতে পারে।

সময় বুলেটিন ফেইসবুক পেইজ….. somoybulletin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *