জীবনের কোনো না কোনো সময়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা প্রায় সবার জন্যই কঠিন হয়ে পড়ে। স্থূলতার কারণে শরীরে নানা জটিলতা দেখা দেয় তাই অনেকে ওজন কমানোর উপায় খুজেন। তাই ওজন কমানোর উপায় হিসেবে ডায়েট প্ল্যান নিতে হবে। অনেকে কুইটো ডায়েট অনুসরণ করেন। কিছু মানুষ স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। অনেকেই খাবার কম খান এবং শরীরের মেদ কমাতে ব্যায়াম করেন। স্বাস্থ্যকর খাওয়া আপনার ওজন কমাতে একটি বড় ভূমিকা পালন করে।
ওজন কমানোর উপায়
১. প্রোটিন, চর্বি জাতীয় খাবার এবং শাকসবজি খান সবুজ শাকসবজি ওজন কমানোর একটি দুর্দান্ত উপায়। আর সবজি আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে। সবুজ শাকসবজি পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং ক্যালোরি কম অনেক বেশি। কম ক্যালরির মধ্যে যে পুষ্টিকর সবুজ শাকসবজি রয়েছে সগুলো হল ব্রকলি, ফুলকপি, পালং শাক, টমেটো, কেল, ব্রাসেলস স্প্রাউট, বাঁধাকপি, সুইস চার্ড, লেটুস এবং শসা।
উপরন্তু, সব চর্বি খারাপ নয়। আপনার শরীরের মসৃণভাবে কাজ করার জন্য চর্বিযুক্ত খাবারেরও প্রয়োজন। তাই ওজন কমানোর উপায় হিসেবে আপনি আপনার ডায়েটে স্বাস্থ্যকর চর্বি অন্তর্ভুক্ত করতে জলপাই তেল এবং অ্যাভোকাডো তেল বেছে নিতে পারেন। আবার নারকেল তেল ও মাখনের মতো চর্বিতেও যথেষ্ট চর্বি থাকে। তাই এগুলো পরিমিতভাবে ব্যবহার করা উচিত।
২.কার্ব-ডায়েট করার সময় দেহশক্তির জন্য শর্করার বদলে আপনার শরীরের সঞ্চিত ফ্যাট ব্যবহার করবে। লাল আটা থেকে উৎপাদিত খাবার আপনার শরীরে আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণের পরিমাণ বাড়ায়। সেই সঙ্গে খাবার ধীরে ধীরে হজমে সহায়তা করে। ফলে আপনার ক্ষুধা কম লাগবে। ওজন কমানোর উপায় হিসেবে শস্যদানা থেকে উৎপাদিত খাবার খেলে ফ্যাটযুক্ত ও ভাজাপোড়া খাবারের প্রতি আকর্ষণ কমবে।
৩.ব্যায়াম স্বাস্থ্যকর খাওয়ার পাশাপাশি ব্যায়াম আপনার ওজন দ্রুত হ্রাস করতে সহায়তা করে। ভারোত্তোলন ব্যায়াম ওজন হ্রাস এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। ওয়েট নিয়ে ব্যায়াম করার ফলে সেটি আপনার বিপাক ক্রিয়া বজায় রাখতে সহায়তা করে, যা ওজন হ্রাস করতে কার্যকরী। এর পাশাপাশি বিভিন্ন রকম শরীরচর্চা আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করবে।
আরো পড়ুন… SEO কি? কেন SEO করা হয়? কিভাবে SEO করতে হয়?
৪. মসলাযুক্ত খাবার কখনোই শুধু সিদ্ধ খাবার খাবেন না। হলুদ, ধনে, জিরা গুঁড়া ইত্যাদি মশলা কখনই ডায়েট থেকে বাদ দেবেন না। কারণ, এই মশলা আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
৫. ফোনে কথা বলুন ফোনে কথা বলার সময় এক জায়গায় বসে কথা বলবেন না। আমার ক্ষতে নুন মাখার কথা বলুন – ওহ! এইভাবে আপনি 10 মিনিটে 36 শতাংশ ক্যালোরি পোড়াতে পারেন।
৬. জলপান করা পর্যাপ্ত পানি পান করুন। পানি পান আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করবে।
৭. বাড়ি মুছুন ঘরের কাজ করে। উদাহরণস্বরূপ, ঘর পরিষ্কার করলে সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি বার্ন হতে পারে। এভাবে ৪২ শতাংশ ক্যালরি নষ্ট হতে পারে।
৮. চিনি খাবেন না চিনি চর্বি জাতীয় খাবার তাই চিনি খাওয়া পুরোপুরি ভাবে বন্ধ করুন। এক চা চামচে মোট ১৬ শতাংশ ক্যালোরি থাকে। তাই কখনোই চা বা দুধে চিনি দিয়ে খাবেন না।
৯. তাড়াতাড়ি রাতের খাবার শেষ করুন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাতের খাবার খান। কারণ, রাতে খাওয়ার পর শুতে গেলে মোটা হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। আর রাতে ক্ষুধা লাগলে এক গ্লাস দুধ পান করতে পারেন।
১০. জগিং করুন বাইরে দৌড়ানোর দরকার নেই। আপনি ওজন কমানোর উপায় হিসেবে যদি পারেন, আপনি আপনার নিজের বাড়িতে জগিং করতে পারেন।
১১. দিনের বেলা ঘুম বাদ দিন রাতে আট ঘণ্টা ঘুমানো খুবই জরুরি। কিন্তু দিনের বেলা কখনই ঘুমাবেন না। এটি স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়।
১২. ধীরে ধীরে খান আপনি যখন খাবার খান, খুব দ্রুত না খেয়ে ধীরে ধীরে খান। এতে আপনার পেট ঠিকমতো ভরবে। তাড়াহুড়ো করে বেশি খেয়ে ফেললে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার খেতে পারেন।
১৩. খাবার আগে জল পান করুন খাওয়ার আগে সর্বদা এক গ্লাস পানি পান করুন। এ ছাড়া জাঙ্ক ফুড একেবারেই খাবেন না। যেমন: ওজন কমানোর উপায় হিসেবে ক্রিম, বিস্কুট, বার্গার ইত্যাদি যতটা পারেন ঘরে তৈরি খাবার খান। এতে শরীর ভালো থাকবে এবং মোটা হবে না।
১৪. ছোট প্লেটে খান প্লেট প্রতিস্থাপন. আপনি যে প্লেটে খাচ্ছেন তার চেয়ে ছোট প্লেটে খান। বেশি খেতে ভালো লাগবে। তাই খাবার কম খাওয়া শুরু করুন।
১৫. ক্ষুধার্ত হলে পপকর্ন খান আপনি যখন সিনেমায় যাবেন তখন শুধু পপকর্ন খাবেন না। যখনই ক্ষুধার্ত তখনই খেতে পারেন পপকর্ন। এটি একটি কম ক্যালরিযুক্ত খাবার। তাই মোটা হওয়ার ঝুঁকি কম।
সর্বশেষে বলা যায় ওজন কমানোর উপায় হিসেবে আপনাকে সবগুলো নিয়ম মেনে চলতে হবে।
যুক্ত থাকুন সময় বুলেটিনের ফেইসবুক পেইজে…..somoybulletin