Mobarok Hussain
More Details
মোবারক হোসেন
ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করেন লক্ষ টাকা। মোবারক নিজ ঘরে বসেই আমেরিকান অফিসে করেন চাকরি। আমেরিকান একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সিতে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Web Design And Development) স্পেসালিস্ট হিসেবে কর্মরত আছেন। এ ছাড়া তিনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ফাইবার ও আপওয়ার্কে টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সার হিসাবে যুক্ত রয়েছেন। তিনি ২০২১ সালে আপওয়ার্কে (Best Web Design Development Expert in Bangladesh) এ ফ্রিল্যান্সার হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এতে আপওয়ার্কের জরিপে বাংলাদেশে প্রথম অবস্থানটি এখন তার। দীর্ঘ সংগ্রামের পর বর্তমানে তার মাসিক আয় ১ লক্ষ টাকার বেশি।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয় | মোবারক হোসেন পথ যাত্রা:
মোবারক হোসেন
প্রথম কোথায় চাকরি করেন?
ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা এত সহজ ছিলো না। মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে ২০১৫ সালে একটি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষানবিশ হয়ে কাজ করার সুযোগ পান তিনি। মূলত তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন। সেখানে অল্প বেতনে দুই বছর চাকরি করার পর তুষার ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পান। চাকরি চলাকালীন তিনি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস ফাইবার এবং আপওয়ার্কে একাউন্ট খুলে বেশ কিছু কাজ করতে থাকেন। এরপর ২০১৭ সালে চাকরি ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে মনোযোগী হয়ে ওঠেন। তার পর সরকারি ভাবে LEDP তে দীর্ঘ্য দিন যাবত ট্রেইনার হিসেবে কাজ করেন।
তুষার বলেন, শুরুতে কোন কিছু বুঝতাম না। ইন্টারনেটে গুগোল, ইউটিউব ঘেঁটে ঘেঁটে শিখতে লাগলাম। কিন্তু সফলতার থেকে ব্যর্থতার ঝুলিটাই বড় হতে লাগলো। একটু হতাশ হয়ে গেলাম, তবে আমার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসিনি। এখনকার মতো তখন এতো কোর্সের ব্যবস্থাও ছিলো না যে, কোর্স করে তারাতারি সফলতার মূখ দেখবো।
তিনি বলেন, অনেক ইচ্ছে ছিলো ওয়েভ-ডেভেলোপমেন্টের ওপর কাজ করবো। কিন্তু সেটাতে খুব বেশি সফলতা পেয়ে কাজ শিখে সেটির ওপর কাজ চালিয়ে যাই।
আরো পড়ুন… মেসি নাকি লোনালদো কে সেরা?
তরুণ এ ফ্রিল্যান্সার জানান, আগামীর বাংলাদেশ হবে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর। এজন্য সামনের দিনগুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিং-এর গুরুত্ব অনেক বেশি। করোনা মহামারীর কারণে দেশের মানুষ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে কয়েক ধাপ এগিয়ে গেছে। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং কাজের ক্ষেত্রে ঝুকে পড়ছে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো।
তিনি বলেন, বিশ্লেষকদের মতে- আগামী দিনে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় বর্তমান সময়ের চেয়ে কয়েকগুন বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
আগামী প্রজন্মের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। নিজেকে ঠিক করে নিতে হবে কোন বিষয়ে আপনি দক্ষ। যে বিষয়ের ওপর আপনি কাজ করতে আগ্রহী সেই বিষয়ের ওপর ভাসা-ভাসা ধারণা নিয়ে মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করা সম্ভব নয়। এতে হতাশ হতে হবে। এজন্য দক্ষতা অর্জন এবং ধর্য্য ধারণের বিকল্প নেই যদি একজন ব্যাক্তি ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে চাই।
মোবারক হোসেন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র:
তুষার রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় নিজের নামে গড়ে তুলেছেন ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (লার্ন ফ্রিল্যান্সিং উইথ তুষার)। এছাড়াও অনলাইনে ‘Toriqul Islam Tusher’ নামে ফেসবুক পেজ এবং ‘Learn Freelancing with Tusher’ নামক ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে তার। সেখানে লাইভ ক্লাস নেয়ার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। এখান থেকে এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন), সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংসহ আউটসোর্সিংয়ে বিভিন্ন মাধ্যম সম্পর্কে তরুণ-তরুণীরা অনপ্রাণীত হয়ে কাজ শিখছেন। এখন পর্যন্ত তার এলাকায় ৫০ জন এবং অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে ৩০০ এর বেশী বেকার যুবক-যুবতীদের ফ্রিল্যান্সার হিসাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।
ইংরেজি নিয়ে যা বললেন মোবারক হোসেন :
তরুণদের জন্য বড় একটি সমস্যা ক্লায়েন্ট ম্যানেজমেন্ট করা। অনেকেই সেটি ঠিকমতো করতে পারেন না শুধু মাত্র ইংরেজিতে ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলতে না পারাই। ফলে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পান না তারা। এই সংকট কাটাতে অবশ্যই ইংরেজিতে যোগাযোগে পারদর্শী হতে হবে। তা ছাড়া ধর্য ধরে লেগে থাকলে সাফল্য আসবে ঠিকই। তুষার আরো জানান, ছাত্র অবস্থায় যদি কেউ ফ্রিল্যান্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়, এটি হবে তার জন্য বাড়তি আয়ের পথ। আর ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করে একজন শিক্ষার্থী তার পড়াশোনার খরচ চালানো সক্ষম করতে পারবে।
একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসিক আয় কত ?
সাধারনত একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসিক আয় কত তা নির্বর করে তার দক্ষতা ও পরিশ্রম এর উপর। তবে ৩/৫ বছর এর অভিঙ্গতা সম্পূর্ণ একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসিক আয় ৫০ হাজার টাকার বেশি হবে।
যোগাযোগ: