ফুটবল খেলোয়ার ওজিল খেলা-ধুলা সবকিছু ছেড়ে মনোনিবেশ করেন আল্লাহর পথে চলছে পবিত্র মাহে রমজান যে মাস প্রশান্তি যোগায় মনে রাস্তা দেখায় দুনিয়া আর আখিরাতের। ধর্ম শুধু মসজিদ আর মন্দিরেই সীমাবদ্ধ নেই ছড়িয়ে পড়েছে ক্রিয়া জগতেও সমান তালে। আশার প্রদীপ কখন জানি ডুবে যায় নিরাশায় মন কাঁদে নিরালায়। ও আল্লাহ ও আল্লাহ বলে আমি যে অসহায় এমনি ইসলামের দহনে পরেছিলো জার্মান ফুটবল তাঁরকা ওজিল।
খেলা-ধুলা সবকিছু ছেড়ে নিজেকে উজার করে দিয়েছিলেন আল্লাহর কাছে। শুধু মুসলীম হওয়ার কারণে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে জার্মানরা তার সাথে যে আচরণ করেছিলো তা মানতে পারেননি মানা সম্ভব হয়নি ওজিলের। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপে জার্মান বাদ পড়লে সব দায় এসে পড়ে ফুটবল খেলোয়ার ওজিল এর উপর। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ফেডারেশন, রাজনৈতিক কর্তা কেউই বাদ যায়নি তাকে ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করতে।
তখন তাকে বলা হয়েছিলো ধর্ম ছেড়ে পুরোপুরি খেলায় মনোযোগী হওয়ার জন্য। ওজিল পারেননি ধর্ম ছাড়তে বরং ওল্টো ফুটবলের উজ্জ্বল ক্যারিয়াটাই ছেড়ে দিয়েছিলেন তখন। তিনি জানিয়ে দেন রাজনৈতিক ব্যক্তি আর জার্মান ফেডারেশন যে আচরণ করেছে তার সাথে তাতে জার্মানির জার্সি গায়ে তুলার ইচ্ছেটাই নষ্ট হয়েগেছে। দলের হয়ে ভালো খেললেই আমি জার্মান আর খারাপ খেলললে হয়ে যায় অধীবাসী মুসলমান। অথচ পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪ বিশ্বকাপ জেতানাের মুল নায়ক ছিলেন ওজিল।
ধর্ম প্রেমী ফুটবল খেলোয়ার ওজিল
১৯৮৮ সালে জার্মানিতে অভিবাসী হওয়া একটি তুর্কি মুসলিম পরিবারে জন্ম মেসুত ওজিলের। জার্মানির পরিবেশে বড় হলেও ওজিল পূর্ব পুরুষের দেশ তুরস্কের রীতি-সংস্কৃতিও হৃদয়ে ধারণ করেন প্রবলভাবে। সেই সাথে পারিবারিক পরিবেশেই শিক্ষা পেয়েছেন ধর্মচর্চার; জার্মানির একটি পত্রিকাকে নিজেই বলেছেন, মাঠে নামার আগে আমি কোরআন থেকে কিছু অংশ পড়ি। আমার টিমমেটরা জানে এই সময় আমার সাথে কথা বলা নিষেধ।কিন্তু এই বিষয়গুলোই শেষ পর্যন্ত বাধা হয়ে দাড়িয়েছে তার ফুটবল ক্যারিয়ারের পথে।
১২ ও ১৬ ইউরাের সেমিতে নেয়ার কারিগর জার্মানির ছিলেন তিনি। মিড ফিল্ডার হয়েও জার্মানির জার্সিতে ২৩ গােল, করিয়েছেন শতাধিক গোল। জার্মান দর্শকদের ভােটেই রেকর্ড পাঁচবার হয়েছেন দেশ সেরা ফুটবলার। অথচ সেই ওজিলি কিনা হয়ে যান দেশদ্রোহী যার কারণ ছিলো সে একজন মুসলীম। ওজিলের প্রতিবাদী চরিত্রের আরেকটু উদাহরণ উইখুর মুসলমানদের উপর সরকারের নির্যতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার। তিনি টুইটারে উইখুর মুসলমানদের যোদ্ধা হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।
আর এই স্ট্যাস্টাসের কারণে, ম্যানসেস্টার আর আরসেনালের ম্যাচ সম্প্রচার বাতিল করেছিলো চীনের রাষ্টীয় টেলিভিশন। স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ক্ষমা চাইতে বললেও ফুটবল খেলোয়ার ওজিল ছিলেন নিজের অবস্থানে ওটল।আর তারই জের ধরে আরসেনাল থেকেও বিদায় নিতে হয়েছিলো তাকে। ইসলাম তাকে এতোটাই শান্তির বার্তা দিয়েছিলো যার কাছে দুনিয়ার সবকিছু তুচ্ছ হয়ে পড়ে। নিজেকে সঁপে দেন মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট। খেলা-ধুলা সবকিছু ছেড়ে মনোনিবেশ করেন আল্লাহর পথে।
আরো পড়ুন… খেলাধুলা সর্ম্পকে
বিভিন্ন ধরনের খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজেঃ সময় বুলেটিন