একনজরে সিলেটের দর্শনীয় স্থান সমূহঃ
হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার :-
নগর সিলেটের মধ্যখানে টিলার উপর চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন হযরত শাহজালাল (রহ:) এর মাজারজেয়ারতের জন্য দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রতিদিনইধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষ সিলেট আসেন। শাহজালাল চরণস্পর্শপাওয়ার কারণেই সিলেটকে অনেকেই পূণ্যভূমি হিসেবে অভিহিত করেন। হযরত শাহজালাল (রহ🙂একজন বিখ্যাত দরবেশ ও পীর। তাঁকে ওলিকুল শিরোমণি আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। সিলেট অঞ্চলে তাঁর মাধ্যমেই ইসলামেরপ্রসার ঘটে।
সিলেটের দর্শনীয় স্থান, শাহী ঈদগাহ, সিলেট :-
১৭০০ সালে প্রথম দশকে সিলেটের তদানীন্তন ফৌজদার ফরহাদ খাঁ নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে, তদারকি ও তত্বাবধানে এটি নির্মাণ করেন। প্রতি বছর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উপলক্ষে এখানে বিশাল দুটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ মুসল্লী এক সাথে এখানে ঈদের নামাজ আদায় করে থাকেন।
হযরত শাহ পরাণের মাজার :-
শাহ পরাণের মাজার(Shah Paraner Mazar) সিলেট শহরের একটি পুণ্য তীর্থ বা আধ্যাতিক স্থাপনা। যা হচ্ছে ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে মধ্যপ্রাচ্য হতে বাংলাদেশে আসা ইসলাম ধর্ম প্রচারক শাহ জালালের অন্যতম সঙ্গী অনুসারী শাহ পরাণের সমাধি। এটি সিলেটের দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে অন্যতম হলো এই শাহ পরাণের মাজার এটি শহরের পূর্ব দিকে খাদিম নগর এলাকায় অবস্থিত। শাহ জালালের দরগাহ থেকে প্রায় ৮ কিঃমিঃ দুরত্বে শাহ পরাণের মাজার অবস্থিত।
আলী আমজাদের ঘড়ি :-
সিলেটে দর্শনীয় স্থান সমূহ অন্যতম হলো আলী আমজদের ঘড়ি(Ali Amjader Ghari) বাংলাদেশের সিলেট শহরে অবস্থিত ঊনবিংশ শতকের একটি স্থাপনা,যা মূলত একটি বিরাটাকায় ঘড়ি, একটি ঘরের চূড়ায় স্থাপিত। কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালীপনা আর অবহেলায় সিলেটের এ প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন ঘড়িঘরটি এখন অচল অবস্থায় পড়ে আছে।
সুরমা নদীর তীর ঘেঁষে সিলেট সদর উপজেলায় অবস্থিত এই ঘড়ির ডায়ামিটার আড়াই ফুট এবং ঘড়ির কাঁটা দুই ফুট লম্বা।
মালনি ছড়া চা বাগান :-
উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন চা বাগান : সিলেট সদর উপজেলায় রয়েছে বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের বৃহত্তম এবং সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত চা বাগান। যার নাম ‘মালনীছড়া চা বাগান।’ ইংরেজ সাহেব হার্ডসনের হাত ধরে ১৮৪৯ সালে ১৫০০ একর জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয় উপমহাদেশের প্রথম চা বাগান মালনীছড়া। বাগানটি বর্তমানে পরিচলিত হচ্ছে বেসরকারি তত্ত্বাবধানে। ভ্রমনবিলাসী মানুষের কাছে আনন্দ ভ্রমন কিংবা উচ্ছ্বল সময় কাটানোর প্রথম পছন্দের স্থান হলো মালনীছড়া চা বাগান। সিলেট শহরের একেবারেই অদূরে হওয়ায় চা বাগান দেখতে পর্যটকরা প্রথমেই ছুটে যান মালনীছড়ায়। মালনীছড়া চা বাগানের প্রবেশদ্বার বেশ কয়েকটি। আপনি চাইলে যে কোন একটি পথ দিয়েই চা বাগান দর্শনের কাজ শুরু করতে পারেন। তবে ঝামেলা এড়াতে বাগানে প্রবেশের আগে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়াই বাঞ্চনীয়। তারপর ঘুরে দেখেন বাগানের এপাশ থেকে ওপাশ।
অন্যতম সিলেটের দর্শনীয় স্থান ক্বীন ব্রীজ :-
ক্বীন ব্রীজ(Keane Bridge) হলো বাংলাদেশের সিলেট শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সুরমা নদীর উপর স্থাপিত একটি লৌহ নির্মিত সেতু। এই ব্রীজটিকে সিলেট শহরের “প্রবেশদ্বার” বলা হয়। গত শতকের তিরিশের দশকের দিকে আসাম প্রদেশের গভর্ণর ছিলেন মাইকেল ক্বীন। সিলেটে সবচেয়ে পুরাতন দর্শনীয় স্থান হলো ক্বীন ব্রীজ ।
মুরারিচাঁদ কলেজ :-
মুরারিচাঁদ কলেজ (এম সি) ১৮৯২ সালে তৎকালীন অন্যতম সিলেটের দর্শনীয় স্থান গুলার মধ্যে রয়েছে প্রখ্যাত শিক্ষানুরাগী রাজা গিরিশচন্দ্র রায়ের (১৮৪৫-১৯০৮) অনুদানে প্রতিষ্ঠিত হয়। কলেজটির নামকরণ করা হয় তার প্রমাতামহ মুরারিচাঁদের নামে। পূর্বে কলেজটি সিলেটের বন্দর বাজারের কাছে রাজা জি সি উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে ছিল। বর্তমানে টিলাগড় এলাকায় অবস্থিত এবং সিলেট জেলা সবচাইতে পুরাতন ও শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ।সবাই এম সি কলেজ নামে চিনে । বাংলাদেশ এর অবস্থা ৭ম স্থানে আছে ।
মিউজিয়াম অব রাজাস :-
সিলেটের অন্যতম প্রধান দর্শনীয় স্থান, যা সিলেট সদরের অন্তর্গত জিন্দাবাজার এলাকায় অবস্থিত। এটি সিলেটের অন্যতম প্রধান একটি সংগ্রহশালা হিসাবে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। স্থানটি সিলেট শহরের ‘০’ পয়েন্টের ৫০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে।
টিলাগড় ইকোপার্ক, সিলেট :-
সিলেটের দর্শনীয় স্থান শহরের পাশে অবস্থিত টিলাগড় ইকোপার্ক, টিলাগড় ইকোপার্ক টি বাংলাদেশের তৃতীয় ইকোপার্ক হিসেবে গড়ে উঠেছে ১১২ একর জমি নিয়ে ২০০৬ সালে সিলেটে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে গড়ে উঠেছে ইকোপার্ক।
এটি একটি রিজাব ফরেস্ট এখানে অনেক ধরনের কাঠ গাছ রয়েছে, সেগুন গাছ, ইত্যাদি।
ইকোপার্কের ছোট বড় টিলার মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে একটি ছড়া।
ইকোপার্কে অনেক ধরনের ওষুধী গাছ-গাছালী রয়েছে।
জিতু মিয়ার বাড়ী :-
সিলেটের পরিচিতিতে বহুল প্রচলিত এমন লোকগাঁথা। সিলেট নগরীর শেখঘাটে কাজীর বাজারের দক্ষিণ সড়কের ধারে ১ দশমিক ৩৬৫ একর ভুমি জুড়ে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী জিতুমিয়ার বাড়ি(Jitu Miar Bari)। চুন সুরকি দিয়ে নির্মিত মুসলিম স্থাপত্য কলার অনন্য নিদর্শন এ দালানটি নির্মাণ খান বাহাদুর আবু নছর মোহাম্মদ এহিয়া ওরফে জিতু মিয়া।
আরও পরুনঃ- সারাদেশের খবর
নতুন নতুন খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেইজে যুক্ত থাকুন: সময় বুলেটিন