একনজরে দেখে নিন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করণীয়…
ডায়াবেটিস নামের মধ্যেই আতঙ্ক জড়িয়ে রয়েছে৷ বর্তমানে বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত৷ তবে বেশ কিছু ভেষজ ও প্রাকৃতিক প্রতিকারের সাহায্যে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়৷ সেই সঙ্গে সঠিক চিকিৎসা ও খাদ্যাভাসও একান্ত জরুরী৷ তাই আমাদের আজিকের এই প্রতিবেদনে ডায়াবেটিস আটকাতে রইল কিছু পরামর্শ-
সাধারণভাবে, দুটি প্রধান ধরনের ডায়াবেটিস আছে -ডায়াবেটিস
- টাইপ ১ ডায়াবেটিস: – যেখানে শরীর একদম ই ইনসুলিন তৈরি করে না।
- টাইপ ২ ডায়াবেটিস: – যে শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করে না বা যে শরীর ইনসুলিন তৈরি করে তা আমাদের রক্ত থেকে চিনি শোষণে সঠিকভাবে কাজ করে না
১. ডায়াবেটিসকে জানুন
শরীরের ইনসুলিনের ভারসাম্যহীনতায় রক্তে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিক হয়ে ডায়াবেটিসের সৃষ্টি হয়। সময় থাকতেই ডায়াবেটিস সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো। এতে আগে থেকেই রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা যায়।
২. খাবারের পরিমাণ কমান
মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়া ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ। এ কারণে খাবারের পরিমাণ কমানো উচিত আগেভাগেই। খাবার খাওয়া কমানোর জন্য ছোট ছোট প্লেটে অল্প করে খাবার নিতে পারেন। এছাড়া খাবার খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিলেও তাতে খাবারের পরিমাণ কমতে পারে।
৩. শারীরিক অনুশীলন করুন
আপনি যদি নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন করেন তাহলে তা নানাভাবে আপনার স্বাস্থ্যের উপকার করবে। বিশেষ করে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন রোগ দূরে রাখায় এর ভূমিকা রয়েছে। এতে ডায়াবেটিসের মতো রোগও দূরে থাকবে।
৪. ওজন কমান
শরীরের ওজন যদি বেশি বেড়ে যায় তাহলে তা ডায়াবেটিসকে ডেকে আনতে পারে। তাই দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চিনি দেয়া খাবারে সীমাবদ্ধতা
আপনি যদি প্রায়শই ভাজা, মিষ্টি বা ময়দা খান এতে শরীরে গ্লুকোজ গঠনের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে যা চিনির মাত্রা বৃদ্ধির কারণ। এ জাতীয় পরিস্থিতিতে এই বিষয়গুলো থেকে সম্পূর্ণ দূরত্ব বজায় রাখা খুব জরুরি।
প্রতিদিন ১ বাটি করে সালাদ খান
সালাদ রোগ নিয়ন্ত্রণে ভুমিকা পালন করে থাকে। অন্তত পক্ষে প্রতিদিন যদি ১ বাটি করে সালাদ খান তাহলে দেখা যাবে আপনার এই রোগের বৃদ্ধির মাত্রা দিন দিন কমে যাবে।
প্রচুর পরিমাণে হাটাহাটি করুন
আপনারা নিশ্চয়ই এতোক্ষণে জানছেন অলস জীবন-যাপন করার কারনে ডায়াবেটিস রোগটি শরীরে বাসা বাঁধে। আপনারা যদি সকাল বিকাল প্রচুর পরিমাণে হাটাহাটি করেন। তাহলে রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবোন এবং দিন দিন এর বৃদ্ধির মাত্রা কমে যাবে।
ছোট খাবার খান
তিনটি বড় খাবারের জন্য স্থির না হয়ে সারা দিনে 5 বা 6 খাবার ছড়িয়ে দিলে, আপনার শরীর তার হজম প্রক্রিয়াগুলিতে সক্রিয় থাকবে, যা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াবে। ডায়াবেটিসের জন্য ডায়েট টিপস সম্পর্কে আরও পড়ুন।
নতুন ফল এবং সবজি আছে
ফল এবং শাকসবজি হল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান। নতুন ফল এবং শাকসবজি চেষ্টা করে, আপনি নিজে থেকে চিনির মাত্রা নিরীক্ষণ করতে পারেন এবং আপনাকে খাদ্যের পছন্দগুলি বেছে নিতে সাহায্য করতে পারেন। ডায়াবেটিসের জন্য 10টি কম গ্লাইসেমিক ফল সম্পর্কে আরও পড়ুন।
ত্বকের যত্নে যা করবেন.. somoybulletin