রমজান মাসের আমল ও ফজিলত

রমজান মাসের আমল ও ফজিলত

রমজান মাসের আমল ও ফজিলত:

রমজান মাসের আমল ও ফজিলত, মুসলিমদের কাছে সপ্তাহের সর্ব উত্তম দিন শুক্রবার। আর মাসের দিক বিবেচনায় রমজান সর্ব উত্তম মাস। এই মাসের ফজিলত অনেক। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র রমজান মাসে আমাদেরকে আল-কুরআন দিয়েছেন। এছাড়াও ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রমজান অন্যতম। রহমত-বরকত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস পবিত্র রমজান। এ মাস মানুষকে দুনিয়া ও পরকালের জন্য সব নেয়ামত আহরণের প্রতি আহ্বান করে। মুমিন মুসলমান যদি রমজান মাস জুড়ে আল্লাহর কাছে ৪টি কাজ বেশি বেশি করে তবে তার দুনিয়া ও পরকাল হবে সফলকাম।


অল্প সময় কিংবা অল্প পরিমাণে হলেও পবিত্র কুরআনুল কারিম তেলাওয়াত করা। কুরআন তেলাওয়াতের সময় অবশ্যই তা বিশুদ্ধভাবে তারতিলের সঙ্গে তেলাওয়াত করা। যেটুকু পরিমাণ তেলাওয়াত করবেন তার অর্থ ও ব্যাখ্যা জেনে নেয়াও উত্তম। তাফসির পড়তে অপরাগ হলে অন্তত দেখে দেখে তেলাওয়াত করা।

০১. ইবাদতের ক্ষেত্রে রাসুল (সা.)-এর অনুসরণ

যারা খতম তারাবিহ পড়েন, তাদের জন্য প্রতিদিনের কুরআন তেলাওয়াতের নির্ধারিত অংশ দেখে নেয়া।
প্রতিদিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। যদিও সবসময়ই জামাআতে নামাজ আদায় করা গুরুত্বপূর্ণ। ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় রমজানে মানুষের মাঝে জামাআতে নামাজ পড়ার চেতনা উজ্জীবিত হয়। তাই এ সময়টিতে জামাআতে নামাজের প্রতি মনোযোগী হওয়া।

০২. ইবাদতের ক্ষেত্রে রাসুল (সা.)-এর অনুসরণ

সহি ও বিশুদ্ধভাবে আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর যেসব ইবাদতের কথা উল্লেখ আছে— সেগুলো পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়ানো বা কমানোর সুযোগ নেই। কারণ, ইবাদত হচ্ছে— যা আল্লাহর রাসুল (সা.) শিখিয়ে দিয়েছেন। কোরআনে এসেছে, ‘রাসুল তোমাদের জন্য যা নিয়ে এসেছেন, তা তোমরা গ্রহণ করো; আর যা থেকে সে তোমাদের নিষেধ করেছেন, তা থেকে বিরত হও।’ (সুরা হাশর, আয়াত : ০৭)

এ বিষয়ে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে এমন ইবাদত করল— যাতে আমাদের কোনো নির্দেশনা নেই; তা পরিত্যাজ্য হিসাবে গণ্য হবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪৫৯০)

অপরকে কোরআন পড়া শেখানো

রমজান মাস অপরকে কোরআন শেখানোর উত্তম সময়। এ মাসে আল্লাহর রাসুল (সা.) নিজে সাহাবিদের কোরআন শিক্ষা দিতেন। এ বিষয়ে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সেই, যে নিজে কোরআন শিক্ষা করে ও অপরকে শিক্ষা দেয়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫০২৭)

বিলম্বে ইফতার করা: সিয়ামের পূর্ণ সওয়াব পাওয়ার জন্য বিলম্বে ইফতার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সাহাবি হজরত আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘দীন বিজয়ী হবে, যে যাবৎ মানুষ দ্রুত ইফতার করবে। কারণ, ইহুদি-নাসারারা তা বিলম্বে করে। ’ –সুনানে আবু দাউদ: ২৩৫৫

৩. লাইলাতুল কদর তালাশ না করা: রমজান মাসে এমন একটি রাত রয়েছে যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে- ‘কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। ’ –সূরা কদর: ৪  হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) (রমজানের) শেষ দশদিন লাইলাতুল কদর তালাশ করার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে কদরের রাত খোঁজ।

somoybulletin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *