ইফতারের দোয়া ও ফজিলত, রমজান রহমত-বরকতের মাস। এ মাসে প্রাপ্তবয়স্ক প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর ওপর রোজা রাখা ফরজ। রোজা রাখার পর যে খাবারের সমাপ্তি হয় এটাকে ইফতার বলে। ইফতারের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত।
রোজা শেষে নবী (সা.) ইফতার করতেন। সাহাবায়ে কেরাম ইফতার করতেন। আলকামা ইবনে সুফিয়ান ইবনে আবদুল্লাহ সাকাফি স্বীয় পিতা থেকে বর্ণনা করেন, ‘আমরা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাসুল (সা.)-এর সাক্ষাতের জন্য আসতাম। তিনি আমাদের জন্য মুগিরা ইবনে শোয়ার ঘরের পাশে দুইটি তাঁবু টানিয়ে দিতেন। বেলাল (রা.) আমাদের কাছে ইফতার নিয়ে আসতেন। আমরা জিজ্ঞেস করতাম, বেলাল, রাসুল (সা.) ইফতার করেছেন? বেলাল (রা.) বলতেন, হ্যাঁ, আমি তোমাদের কাছে রাসুল (সা.)-এর ইফতার করার পরই এসেছি এবং আমরাও খেয়ে এসেছি।’ (আল মুজামুল কাবির লিত-তাবরানি, হাদিস : ৪২০০)
হজরত মুয়াজ ইবনে জুহরা বলেন, তার কাছে পৌঁছেছে যে, রাসূলুল্লাহ সা: ইফতারের সময় এই দোয়া পাঠ করতেন। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ২৩৫৮)
দোয়াটি হলো–
اللهم لك صمت وعلى رزقك أفطرت
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া আলা রিজক্বিকা আফত্বারতু।
অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনারই জন্য রোজা রেখেছি এবং আপনারই দেয়া জীবিকা দ্বারা ইফতার করছি।
হজরত মুয়াজ ইবনে জুহরা বলেন, তার কাছে পৌঁছেছে যে, রাসূলুল্লাহ সা: ইফতারের সময় এই দোয়া পাঠ করতেন। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ২৩৫৮)
দোয়াটি হলো–
اللهم لك صمت وعلى رزقك أفطرت
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া আলা রিজক্বিকা আফত্বারতু।
অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনারই জন্য রোজা রেখেছি এবং আপনারই দেয়া জীবিকা দ্বারা ইফতার করছি।
পবিত্র রমজান মাসে রোজা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলমান নারী–পুরুষের জন্য রোজা রাখা ফরজ। রোজা রাখার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর নৈকট্য ও তাকওয়া লাভে ধন্য হয়।
আল্লাহ তাআলা কোরআন মাজিদে বলেন, ‘রমজান মাস, এতে মানুষের দিশারি এবং সৎ পথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এই মাস পাবে, তারা যেন এই মাসে রোজা পালন করে।’ ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য রোজার বিধান দেওয়া হলো, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেওয়া হয়েছিল; যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৮৫ ও ১৮৩)।
ইফতারের সময় যে যে কাজগুলো করতে হয়
১. ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা।
২. অন্য কাজে ব্যস্ত না হয়ে ইফতারে মনোযোগ দেওয়া।
৩. বেশি বেশি দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করা।
৪. খেজুর কিংবা সাদা পানি দিয়ে ইফতার করে মাগরিবের নামাজ আদায় করা।
৫. ইফতারের সময় ভারী খাবার না খাওয়া। মাগরিবের নামাজ আদায় করে তারপরে তৃপ্তিসহ খাবার খাওয়া। তাতে শরীর সুস্থ ও সবল থাকে।