তথ্য প্রযুক্তি উপর নির্ভর করে ভয়ানক আগ্রাসন হচ্ছে জাতি

তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর অন্যান্য মাধ্যমের ভয়ানক আগ্রাসন
তথ্য প্রযুক্তি

তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর অন্যান্য মাধ্যমের ভয়ানক আগ্রাসন

বিশেষত মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, ফেসবুক ও হিন্দি চ্যানেলের অপব্যবহার।
এছাড়া তো আছেই! দেশের বিরাট এক জনগোষ্ঠী ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির আসক্তির মধ্যে রয়েছে। ফলে দেশের সমাজ, সংস্কৃতি ও সভ্যতা এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন (এসব ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ মাত্রায় নেতিবাচক পরিবর্তন এসেছে)। আর এর মূল ভুক্তভোগী হচ্ছে শিশু, কিশোর, যুবকসহ প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।

অন্যদিকে দেশে ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে প্রযুক্তির অপব্যবহারকে দায়ী করেছেন বিশ্লেষকেরা। তারা এটাও বলছেন, করোনাকালে ডিভাইস-নির্ভরতা, পারিবারিক বন্ধন কমে যাওয়া এবং সন্তানদের প্রতি বাবা-মায়ের দায়িত্ববোধের অভাব বাড়িয়ে দিয়েছে সামাজিক অপরাধ।
সংকট থেকে উত্তরণে বিচারের দীর্ঘসূত্রতা অনেকটা দায়ী।

আমাদের তথ্য প্রযুক্তি কিছু অপ্রাপ্তবয়স্ক ও নৈতিক জ্ঞানহীন মানুষের হাতে আক্রান্ত। অপরাধের একটা বড় অংশ এই সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে কেন্দ্র করে সংগঠিত হয়।মানুষের আবেগ ও অনুভূতিতে আঘাত হানার মাধ্যম হিসেবে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন অসামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোকে। আর এ মূল্যবোধহীন মানুষগুলো  তথ্য প্রযুক্তিকে তাদের ভোগ ও আয়েশের ক্ষেত্র বানিয়ে ফেলেছে ।

পুলিশের সাইবার অপরাধ ডিভিশন, অর্থাৎ সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশনের তথ্য অনুযায়ী গত পাঁচ বছরে ১ হাজার ৪০০-এর বেশি সাইবার মামলা হয়েছে। ২৫০টি মামলার তদন্ত চলছে। বিচারাধীন আছে ৪০০ মামলা। অপরাধ তদন্তের জন্য একমাত্র সিআইডি সাইবার অপরাধ ল্যাব আছে। অপরাধ তদন্তে হিমশিম খাচ্ছে।
কিন্তু অপরাধ তো থেমে নেই।

তথ্য-প্রযুক্তির কী দোষ, যদি আমাদের না থাকে হুঁশ! সরকার এর অপব্যবহার রোধে প্রণয়ন করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন—
যেখানে রয়েছে আইন লঙ্ঘনকারীর কঠোর শাস্তির বিধান।
আর এই শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য গঠন করা হয়েছে আলাদা সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল। এ রকম কঠোর আইন থাকার পরও থামছে না তথ্য-প্রযুক্তির অপব্যবহার।
তাই রাষ্ট্রীয় ও পারিবারিক নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে। ব্যক্তি পর্যায়েও নৈতিকতা বজায় রাখতে হবে।

আধুনিক প্রযুক্তির অপব্যবহারের অনেক ভয়ংকর সংবাদ শোনা যাচ্ছে।
বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানতে পেরেছেন,
আজকাল অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার চেয়ে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এত বেশি সময় প্রদান করে যে, ইন্টারনেট ব্যবহার তাদের নেশায় পরিণত হয়েছে।

ইন্টারনেটের অপব্যবহার বৃদ্ধির কারণে সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধির আশঙ্কাও রয়েছে।
কাজেই মোবাইল ফোনসহ সব ধরনের আধুনিক প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে কর্তৃপক্ষকে কঠোর হতে হবে।

লেখক : ইমরান হুসাইন

আমাদের ফেসবুক পেইজ: somoybulletin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *