রাতে ঘুম না হলে যা করবেন, সারাদিনের পরিশ্রম, ক্লান্তি, চোখের পাতা বুজেও আসছে, কিন্তু ঘুম নেই। আজকালকার ফাস্ট লাইফস্টাইল-এর কারণে কমবেশি সবাই-ই ঘুমের সমস্যায় ভোগেন।
কারণ মূলত কর্মক্ষেত্রে চাপ, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, মোবাইল বা ইন্টারনেটে আসক্তি । ঘুম না আসলে শেষ পর্যন্ত অনেকে ঘুমের ওষুধ খান।
এতে অজান্তেই আপনি কিন্তু ট্র্যাঙ্কুইলাইজার বা ঘুমের ওষুধে নির্ভর হয়ে পড়ছেন।
পাশাপাশি, এমনটা লাগাতার চলতে থাকলে অচিরেই শরীরে বাসা বাঁধবে ইনসোমনিয়ার মতো অসুখ।
এ সাধারণ সমস্যার সমাধানে হয়েছে অনেক গবেষণাও। এ থেকে মুক্তি পেতে জানুন বিশেষজ্ঞদের কিছু টিপস—
১. রাতে ঠিকমতো ঘুম না আসার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে— ঘুমাতে যাওয়ার আগে চা, কফি বা নিকোটিন জাতীয় কিছু সেবন করা।
সারাদিন কাজের শেষে যদি মনে করেন যে, এগুলো পান করে কিছুটা রিল্যাক্স হবেন, তা হলে আপনি ভুল ভাবছেন।
বরং সেটিই হতে পারে আপনার রাতে ঠিকমতো ঘুম না হওয়ার কারণ।
২.ঘুমানোর আগে আরামাদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করুন ও মন ভালো রাখে এমন কাজ করুন।
রাতে ঘুমানো আগে মোবাইল ব্যবহার না করে আরাম করে এক কাপ ক্যামোমাইল চা পান করুন, আরাম অনুভূত হবে।
৩.অস্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাস যেমন- প্রতিদিন একই সময় ঘুমাতে না যাওয়া। ঘুমের রুটিনের পরিবর্তন এই ধরনের অনিদ্রার কারণ।
৪.খেলাধুলা করুন আর প্রচুর পরিমাণে হাঁটুন। পরিশ্রম করুন। পারলে বিকেলে দৌড়ানোর অভ্যাস করুন। বিভিন্নপ্রকার শারীরিক ব্যায়াম করুন।
প্রয়োজন হলে জিমে যান। সারাদিন অনেক পরিশ্রম করলে রাতে এমনিতেই ঘুম চলে আসবে।
৫.ভালো ঘুমের জন্য দরকার পরিবেশ। তাই খেয়াল রাখুন আপনার ঘরটি যেন শান্ত, অন্ধকার ও আরামদায়ক হয়।
আর আপনি যতই রাতে না ঘুমিয়ে দিনে বেশিক্ষণ ঘুমান না কেনো, রাতের ঘুম কখনই সমান হবে না।
ঘুম না হলে যারা ঘুমর ওষুধ খাচ্ছেন তারা নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে আনছেন। অনেক রোগের লক্ষণ ঘুমের সমস্যা।
৬.শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে ঘুম কম হয়। মস্তিষ্কের নিউরনের যে অংশ ঘুমের সহায়ক হিসেবে কাজ করে, ডিটামিন ডি সেটাকে সক্রিয় করে।
আর ডিমে থাকে ভিটামিন ডি। পটাশিয়ামযুক্ত খাবারেও ঘুম পায়। কলা আর পালংশাকে আছে প্রচুর পটাশিয়াম।
মধু সেরোটোনিন ও মেলাটোনিন তৈরি করে। এই দুই হরমোনই ঘুমপাড়ানি মাসি আর পিসি।
তাই নিয়মিত মধু খেলে ভালো ঘুম হয়। কাঠবাদামের ম্যাগনেশিয়াম ও ট্রিপটোফ্যান স্নায়ু এবং মাংসপেশিকে শান্ত করে। ফলে ভালো ঘুম হবে।