শিক্ষা ও জ্ঞানের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত করতে পত্রিকা পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলি সংবাদপত্র হচ্ছে এমন একটি কাগজ যা আমাদেরকে পৃথিবীর দূরের ও কাছের সকল সংবাদ দেয়। এটি একটি জাতির খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। বর্তমানে দেখা যায় বাসায় যারা বয়োজেষ্ঠ্য তারাই পত্রিকা পড়েন।
আর আমাদের জেনারেশনের শুধুমাত্র যারা বিসিএস বা চাকুরীর পরীক্ষা দিবেন তারা ব্যতীত আর কারো তেমন আগ্রহ নেই বললেই চলে। অথচ একটা সময় কিন্তু সববয়সী মানুষ পত্রিকা পড়তো। আগে তো ফেসবুক বা অন্য কোনো মাধ্যম ছিলোনা মানুষের সময় কাটানোর।
তাই তারা পত্রিকা পড়তো।কিন্তু এখন মানুষের হাতে হাতে মোবাইল থেকে মানুষের এই ভালোস্বভাব গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সংবাদপত্র জ্ঞানের সবক্ষেত্রকেই তার আওতায় এনেছে, ফলে জনগণ নিয়মিত সংবাদপত্র পাঠ করে বহুমুখী জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পায়।
দৈনন্দিন ঘটনাবলি, রাজনীতি, বিনোদন, ব্যবসা, শেয়ারের ওঠানামা, নিজের এলাকার খবর—সবকিছু জানা যায় খবরের কাগজের পাতায়। টিভিতে ঘটনা দেখার পরেও বিস্তারিত জানার জন্য খবরের কাগজের পাতা উলটাতেই হয়। খবরের কাগজ মানুষকে দিকনির্দেশনাও দেয়।
দেয় সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলির বিশ্লেষণ। জানা যায়, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য তখনকার সংবাদপত্রগুলো পুনর্জন্মের কাহিনি-সংবাদ বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ছাপত। আবার মুক্তিযুদ্ধের পূর্ববর্তীকালে দেশের মানুষ রাজনৈতিক গতি-প্রকৃতি ও আন্দোলনের নির্দেশনা লাভ করত সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর থেকেই। বর্তমানে আমরা বাঙালি জাতি জ্ঞান বিজ্ঞানের অনেক পিছিয়ে। কেননা আমরা শুধু একাডেমিক পড়াশোনার উপর নির্ভরশীল।
যার কারনে আমরা একাডেমিক ভাবে অনেক শিক্ষিত হতে পারলে ও সত্যিকারের জ্ঞানশীল ব্যক্তি হতে পারিনা। নিজেদের কে সত্যি কারের জ্ঞানশীল ব্যাক্তি হিসেবে গড়তে যেমনি প্রয়োজন, তেমনি ভাবে প্রয়োজন তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান।আর নিজেদের কে আরো জ্ঞান বিজ্ঞানে পারদশী করতে প্রয়োজন কুরআন-হাদিস, সাহিত্য,বিভিন্ন জাতির ইতিহাস সম্পর্কে জানা ও নিয়মিত সংবাদপত্র/পত্রিকা পাঠ করা।
আর বর্তমানে সময়ে দেশ বিদেশ সম্পর্ক পত্রিকা পাঠের মাধ্যমে অনেক বেশী জানা সম্ভব এবং মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ও জ্ঞানের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত ও বিকশিত এবং সর্বতোমুখী হওয়ার পাশাপাশি ভাষাজ্ঞানও বাড়ে। তাই আমাদের উচিৎ নিয়মিত পত্রিকা পাঠে আগ্রহী হওয়া । তাই আর দেরি নয়, আজ থেকেই শুরু করুন নিয়মিত পত্রিকা পড়া।
ইমরান হোসাইন
শিক্ষার্থী : গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।