একটু চেষ্টা করলেই দাম্পত্য সম্পর্কটাকে রাখা যায় সজীব, সতেজ আর ভালোবাসায় মুড়ানো বিবাহ পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে একজন নারী এবং একজন পুরুষ একটি পরিবার তৈরি করেন। বিবাহ নারী-পুরুষের মধ্যে যেমন পরিবার সৃষ্টিতে অবদান রাখে; তেমনি দাম্পত্য জীবনে পরস্পরের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসা অনুরাগ সৃষ্টি করে এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন ও শান্তি সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করে ।
পারিবারিক জীবনে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের সম্পূরক। তবে কখনো কখনো দাম্পত্য জীবনে নেমে আসে শীতলতা। এ থেকে জন্ম নেয়প তিক্ততা। কখনো কখনো সেটা ভাঙনে গিয়ে ঠেকে। অথচ একটু চেষ্টা করলেই আমৃত্যু দাম্পত্য সম্পর্কটাকে রাখা যায় সজীব, সতেজ আর ভালোবাসায় মুড়ানো।
একজন মেয়ে বৈবাহিক সূত্রে কারোর স্ত্রী হয়ে যেমন ভাবে নিজের চেনা পরিবেশ ছেড়ে সম্পূর্ণ অজানা বা অপরিচিত পরিবেশে সারাজীবন সুখে কাটানোর প্রত্যাশা নিয়ে আসে, ঠিক সেই সময় স্বামীর অবশ্যই উচিত নিজের স্ত্রী কে সবরকম পরিস্থিতিতে পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া,যাতে স্ত্রী কখনোই না মনে করে এটা আমার বাড়ি নয়,বা এখানে থাকতে অস্বস্তি বোধ হচ্ছে। স্বামীর সর্বদা উচিত তার স্ত্রী কে অনুভব করানো এটা তোমার বাড়ি।
আর উল্টোদিকে স্ত্রীর কর্তব্য স্বামীকে বুঝতে চাওয়া। তার মনোভাব,তার মানসিকতাকে একটু একটু করে অনুধাবনের চেষ্টা করা। একে অপরের প্রতি আস্থা রাখা। মনে প্রাণে বিশ্বাসের মাধ্যমে একে অপরের প্রতি অনুগত্যশীল হওয়া। বিশ্বাস এবং আনুগত্য যেকোনও সম্পর্ক আস্থার ভিত্তিতে নির্ভর করে।
তা বন্ধুত্ব হোক, ভাই-বোন বা অন্য যে কেউই হোক না কেন, সম্পর্কে আনুগত্য থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভরসা থাকাটা প্রয়োজন। কখনও কখনও সম্পর্কটি ভেঙে পড়তে শুরু করার পরেও, আপনি যদি আপনার সঙ্গীকে বিশ্বাস করেন এবং তার সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী হন, তবে সমস্যাগুলি দূরে সরে গিয়ে সম্পর্কটি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবে।
ইমরান হোসাইন
শিক্ষার্থী : গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
prothomalo