অন্যতম হাতিয়ার বই তরুণ প্রজন্মকে যোগ্য করে তোলার

অন্যতম হাতিয়ার বই
অন্যতম হাতিয়ার বই

যেভাবে তরুণ প্রজন্মের অন্যতম হাতিয়ার বই

তরুণ প্রজন্মকে যোগ্য করে তোলার অন্যতম হাতিয়ার বই জন্মগতভাবেই মানুষ অন্যের সাহচর্য প্রত্যাশা করে। তাই প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই মানুষ পারস্পরিক সহযােগিতায় জীবনের অর্থ খুঁজেছে। মানুষের পাশাপাশি একসময় এ সাহচর্যের অংশীদার হয়েছে বই । মানবজীবন প্রবাহের যাবতীয় ভাব-অনুভূতি জানার প্রবল আগ্রহ মানুষকে বইমুখী করেছে। কেননা যুগ যুগ ধরে মানুষের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্নার অনুভূতি বুকে ধারণ করে অনাগত কালের মানুষের জন্যে চির অপেক্ষমাণ হয়ে আছে বই ।

অতীত-বর্তমান আর ভবিষ্যতের যােগসূত্র রচনা করে বই । তাই বই পড়ে মানবমন লাভ করে অনাবিল প্রশান্তি। বই অতীত আর বর্তমানের মধ্যে সেতুবন্ধন সৃষ্টি করে। বই পড়ার মধ্য দিয়ে আমরা যেমন অসংখ্য তথ্য-উপাত্ত, জ্ঞান-বিজ্ঞান সম্বন্ধে অবগত হতে পারি, তেমনি বই

বই-ই মানুষের অন্তর চক্ষু খুলে দেয় একটি ভালো বই পারে ঘুমন্ত বিবেককে জাগিয়ে তুলতে।একটি উত্তম বই মানুষকে মহৎ হতে শেখায়, মনকে প্রসারিত করে, বুদ্ধির বিকাশ ঘটিয়ে জীবনকে করে তালে পরিমার্জিত।অজানাকে জানা ও অচেনাকে চেনার যে চিরন্তন আগ্রহ, তা বই পড়ে মেটানো যায়। অজ্ঞতা ও কুসংস্কারমুক্ত জীবন গড়ার প্রয়োজনে গ্রন্থ পাঠে মনোযোগী হওয়া দরকার।

বই পড়ার মাধ্যমেই একজন মানুষ সুশিক্ষাই গড়ে ওঠে। বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। বই জ্ঞান বিস্তারের উপকরণ। মানব সভ্যতার ইতিহাসে বই এক অনন্য মহৎ সৃষ্টি মানুষের জীবনকে জ্ঞান কর্মে পুন্যে পবিত্রতায় ভরিয়ে তুলতে বই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শিক্ষা সংস্কৃতির বিস্তারে বই ই একমাত্র মাধ্যম। সভ্যতার আগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শিক্ষা ও সংস্কৃতির ও অগ্রগতি ঘটে। বই পড়াও সভ্যতার সাথে মিশে রয়েছে। বই পড়ার আনন্দের চেয়ে মহৎ মিশে রয়েছে।

বই পড়ার আনন্দের চেয়ে মহৎ আনন্দ আর নেই। বই চোখ ও মনের সংমিশ্রণে মস্তিকের সাহায্যে পড়তে হয়। একটি ভালো বই মানুষকে প্রকৃত সুখ দেয়। মনন, মেধা ও বুদ্ধিবৃত্তিকে শানিত করে। বর্তমান পৃথিবীর উন্নত রাষ্ট্রগুলোর দিকে তাকালেই উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারি। শিক্ষিত হতে যে কোনো জাতির বইয়ের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলতে হবে।

সঠিক পথের দিশা পেতে বইয়ের থেকে ভালো কোনো মাধ্যম হতে পারে না। বইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব কমে গেলে আমাদের জ্ঞানার্জনেও ভাটা পড়ার আশঙ্কা ঢের। হ্যাঁ, জ্ঞানার্জনের জন্য অনেক পন্থা আছে কিন্তু বই-ই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা। তাই জীবনকে বুঝতে হলে,অভ্যাসের সংস্কারের বেড়া ভাঙতে হলে বইয়ের সঙ্গ অবশ্য প্রয়োজন। দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার, তরুণ প্রজন্মকে যোগ্য করে তোলার অন্যতম হাতিয়ার বই।

তাই বই পাঠের বিকল্প কিছু নেই। দেশ গড়তে চাইলে, দেশকে ভালোবাসলে, নিজেকে ভালোবাসলে, জ্ঞানী হতে চাইলে, আলোকিত মানুষ হতে হলে অবশ্যই বই পড়তে হবে। তাই প্রতিটি পুরস্কার হোক বই। প্রতিটি উপহার হোক বই। তবেই আমাদের জীবন হবে সুন্দর। বই এমন একটি উপকরণ যা পড়ার পড়ে যত্ন করে সাজিয়ে রাখা যায়। প্রজন্মের পর প্রজন্ম চাইলে সেই বই পড়তে পারে। তাই আসুন, আমরা বইকে ভালোবাসি এবং বই পড়ি।

আমাদের ফেসবুক পেইজ: সময় বুলেটিন

আরো পড়ুনঃ জাতীয় শোক দিবস পালন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *