যেভাবে পৃথীবির সেরা বন্ধন হলো ভালোবাসার বন্ধন
প্রতি বছর নবউদ্দীপনায়, নবচেতনায়, নতুন সাজে আমরা সজ্জিত হই অন্যের ভালোবাসার পরশ পাওয়ার জন্য। ভালোবাসা নির্ভরতার বন্ধন এবং এক প্রকৃত ও পবিত্র আনুভুতির নাম , যেখানে নেই কোন চাওয়া পাওয়া আর নেই কোন স্বার্থপরতা থাকে শুধুই ভালোবাসার এক পবিত্র ও পাগল করা অনুভুতি , যাকিনা প্রতিটা মুহূর্তে নিজেকে প্রেমের দোলনায় দোল খাওয়ায়। যুদ্ধ করে রাজ্য জয় করা যায়, ধন-সম্পদের দখল করে নেয়া যায়, কিন্তু মানুষের মন জয় করতে হলে প্রয়ােজন হয় ভালােবাসা। ভালােবাসা দিয়ে ভুবন জয় করা যায়, শত্রুকে বন্ধু করা যায় । ভালোবাসা নির্ভরতার বন্ধন। ভালােবাসার শক্তি দিয়ে বিপদগামীকেও আলাের দিশা দেখানাে যায়, গরিব-দুঃখীর চোখের জল মুছে দেয়া যায়, অভাবীর মুখে হাসি ফোটানাে যায় । ভালােবাসা দিয়ে পাথরেও ফুল ফোটানাে যায়।
এই ভালােবাসার শক্তি জানান দিতেই প্রতিবছর পালিত হয়ে আসছে ভ্যালেন্টাইন্স ডে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালােবাসা দিবসে ফুলের দোকানগুলাে থেকে নতুন ফুলের গন্ধে চারদিকে মুগ্ধতা ছড়ায়।মৌমাছিগুলাে এক ফুল ত অন্য ফুলে ঘুরে বেড়ায়। বিভিন্ন উপহার প্রদানের মাধ্যমে একজন আরেকজনের মন জয় করার চেষ্টা করি। ভালােবাসায় আপ্লুত অনুভূতিকে আরও আনন্দময় করে তুলতে প্রেমিক-প্রেমিকা জুটি বসন্ত প্রকৃতির মতােই রঙিন সাজে সেজে ওঠে। দুজনে দুজনার হাত ধরে প্রেমপ্রসূনে চুমু খেতে খেতে উপভােগ করে বসন্তের সজ্জিত খেলা। ভালােবাসা ও বসন্তের এই খুনসুটি ভাববিনিময় চলছে অনন্তকাল ধরে । যুগের যুগান্তকারী পরিবর্তনে এ দুইয়ে এসেছে পরিবর্তন। গ্রামের তুলনায় শহর এ ক্ষেত্রে এগিয়ে।
ভালোবাসা নির্ভরতার বন্ধন
শহরে বসবাসরত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী যুগল ছাড়াও নবদম্পতি এবং যুবাবয়সী প্রেমজোড়া বসন্ত বরণ ও ভালােবাসার দিনটিতে ভেসে বেড়ায় প্রেমবিনিময়ের প্রাণােচ্ছল যমুনায়। গ্রামে বসন্ত আয়ােজন তেমনটা না থাকলেও ভালােবাসা ভেলায় ভাসতে চায় এ যুগের কিছু যুবক-যুবতী ও কিশাের-কিশােরী। ভালােবাসা দিবসের এই মাহাত্ম্য খুঁজতে হলে ভালােবাসা সম্পর্কে জানতে হবে। ভালোবাসা শুধু প্রেমিক-প্রিমিকা যুগেলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নই। মূলত ভালােবাসাকে ঘিরেই মানুষের জন্ম ও বেড়ে ওঠা। ভালােবাসাই সমস্ত সুখের উৎস, বেঁচে থাকার মূলমন্ত্র ।
তাই ১৪ ফেব্রুয়ারি সব সম্পর্কের সব বয়সীদের মন রাঙিয়ে দিয়ে যাওয়ার দিন, দোলা লাগার দিন। ভালােবাসার দিনটি শুধু প্রেমিক- প্রেমিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, নারী-পুরুষ ঘিরে আর্বতিত নয়। সন্তানের প্রতি মায়ের ভালােবাসা, বাবার প্রতি সন্তানের ভালােবাসা, স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালােবাসা, বােনের প্রতি ভাইয়ের ভালােবাসা, আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি ভালােবাসা, পাড়া- প্রতিবেশীদের প্রতি ভালােবাসা। যে মানুষটি আজ থেকে বহুবছর আগে ভালােবাসার জন্য জীবন দিয়ে গেছেন তিনি কি ভালােবাসার সীমারেখা টেনে দিয়ে গেছেন। না, তা মােটেও না। ভালােবাসা ছড়িয়ে দিতে হবে গবির-দুঃখীদের মাঝে, অভাবীর মাঝে, সবার মাঝে। আজকের ভালােবাসা দিবসে ভালােবাসা হয়ে উঠুক সবার জন্য। হয়ে উঠুক ভালোবাসা নির্ভরতার বন্ধন।
ভালোবাসা নির্ভরতার বন্ধন হয়ে পাশে থাকে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত
ভালোবাসা শুধু যুবক-যুবতীদের মাঝে আবধ্য নেই,কিশোর-কিশোরীদের মাঝে আবধ্য নেই।ভালোবেসে অনেক যুগল বন্ধী জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত পাশে থাকে নির্ভরতার প্রতীক হয়ে নিজের ভালোবাসার মানুষের কাছে।ভালোবাসার বন্ধনে নিজেদের আবদ্ধ করে রাখে নিজেদের মাঝেই।এমন যুগোল বন্দীও দেখা যায়,যারা একে অপর কে ছাড়া অচল।কতো বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের দেখেছি তাদের মনে শেষ বয়সেও ভালবাসার কোনো কমতি নেই প্রিয় মানুষটির জন্য।প্রিয় মানুষটি বাড়ি না ফিরলে তার জন্য খাবার নিয়ে বসে থাকে একসাথে খাবে বলে।এসব শুধুই ভালোবাসার উদাহরণ।এমন হাজারো উদাহরণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আমাদের আশে পাশে বা সমগ্র পৃথিবী জুরে।
আরো পড়ুনঃপ্রেমের টানে ভারত থেকে বরিশালে