ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নের মানুষ কেন জন্ম নিবন্ধন নিয়ে ভোগান্তি শিকার:
জন্ম নিবন্ধন নিয়ে ভোগান্তি ৬নং চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নের মানুষ। ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলার ৬নং চরঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নের মানুষের জন্মনিবন্ধন সনদ পেতে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। জন্মনিবন্ধন সনদের জন্য আবেদন করার শর্তে জটিলতা সৃষ্টি , সনদ প্রদানে দীর্ঘসূত্রতা,সরকারি ফি’র বাইরেও অতিরিক্ত অর্থ নেওয়াসহ দায়িত্বরত কর্মকর্তা দ্বারা বিভিন্ন রকমের হয়রানির স্বীকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। একদিনে আবেদন ফর্ম জমা নেওয়ার কথা থাকলেও একাধিক বার একজন সেবাগ্রহিতাকে পরিষদে আসার জন্য বলা হচ্ছে।
তাছাড়া একটি জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি করার জন্য কি কি কাগজ-পত্র প্রয়োজন সে বিষয়ে জানতে চাইলে দায়িত্বরত কর্মকর্তা সেটা জানাতেও অনীহা প্রকাশ করেন। যার ফলে গ্রামের সহজ-সরল মানুষের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতেও সৃষ্টি হচ্ছে জঠিলতা। পরিষদের সেবাগ্রহণের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফ্রি প্রদানেরও নেই কোন নির্দিষ্ট তালিকা। যার ফলে দায়িত্বরত কর্মকর্তা নিজ ইচ্ছে অনুযায়ী টাকা আদায় করে নিচ্ছেন। জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত এমন সমস্যা এখন ৬ নং চরঈশ্বরদিয়ার প্রতিটি মানুষের।
জন্মনিবন্ধন সনদ কেন বাধ্যতামূলক?
প্রশাসনিক সব কর্মকাণ্ড ডিজিটাল পদ্ধতিতে ব্যবহার হওয়ায় জন্মনিবন্ধন অপরিহার্য।
পাসপোর্ট তৈরি, বিয়ে নিবন্ধন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, চাকরিতে নিয়োগ, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার তালিকা তৈরি, জমি রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক হিসাব খোলা, আমদানি ও রফতানি লাইসেন্স, গ্যাস, পানি, টেলিফোন এবং বিদ্যুৎ সংযোগের অনুমতি, করদাতা শনাক্তকরণের নম্বর, ঠিকাদারি বা চুক্তির লাইসেন্স, ভবন নকশার অনুমোদন, ট্রেড লাইসেন্সপ্রাপ্তি এবং মোটরযানের নিবন্ধন পেতে জন্মনিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক।
আরো পড়ুন: ফ্রিল্যান্সিং করে আয় তুষারের মাসে ১ লক্ষ টাকা
সিটিতে বসবাসরত নাগরিকদের স্থানীয় কমিশনারের প্রত্যায়নপত্র লাগে। এক সময় সন্তানের বাবা ও মায়ের জন্মনিবন্ধন লাগত না। এখন সকলের জন্মনিবন্ধনের বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
যার ফলে ৬ নং চরঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নের মানুষের জন্য ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে। তাই এই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাগবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সজাগ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আমাদের ফেসবুক পেইজ: সময় বুলেটিন