কক্সবাজার সৈকতে প্রাণের উচ্ছ্বাস, বৈরী Somoybulletin

[ad_1]

ছবি: বাংলানিউজ

কক্সবাজার: প্রতিবছর বিজয়া দশমীতে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাখো মানুষের ঢল নামে। কিন্তু এবার ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’র কারণে প্রতিমা বিসর্জনের আয়োজনে সৈকতে উপস্থিতি কম দেখা গেছে।

যদিও প্রাণের উচ্ছ্বাস ছিল বরাবরের মতো।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার শেষ দিন বিজয়া দশমীর আয়োজন করা হয় সৈকতের লাবণী পয়েন্টে।  
 
আয়োজকরা জানান, শুধু লাবণী পয়েন্টে এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা দেড়শ প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া একই সময়ে কক্সবাজারের রামুর বাঁকখাল নদী, চকরিয়ার মাতামুহুরী, টেকনাফের সাগর ও নাফনদী, উখিয়ার ইনানী সৈকত ও রেজুনদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। রামু ও চকরিয়ায় পৃথক প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 
রামুর কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরের পুরোহিত সুবীর ব্রাহ্মণ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, এবার মা দুর্গা এসেছেন ঘোড়ার পিঠে চড়ে। যাচ্ছেনও ঘোড়ায় চড়ে। এ কারণে এবার আমরা ঝড়-ঝাপটার আশঙ্কা করছি। তাই মা দুর্গার কাছে আমাদের বিশেষ প্রার্থনা ছিল- প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে মানুষ যেন রক্ষা পায়।

বিসর্জন অনুষ্ঠানকে ঘিরে কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ট্রাকে ট্রাকে আসতে আসতে শুরু করে প্রতিমা। তবে বৈরী আবহাওয়া বিশেষ করে ঝড়-বৃষ্টির কারণে সৈকতে প্রতিমা একটু দেরিতে নামানো হয়েছে।

সৈকতের বালুচরে রাখা দুর্গা প্রতিমা ঘিরে চলে ভক্তদের শেষ আরাধনা। এসময় নাচে-গানে এক আনন্দমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় সৈকতে।  
 
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উজ্জল করের সভাপতিত্বে কক্সবাজার সৈকতের এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম, টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম প্রমুখ।

জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশ জানান, এ বছর জেলার দেড় শতাধিক প্রতিমা কক্সবাজার সৈকতে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। আয়োজন নিরাপদ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, জেলার নয় উপজেলার ৩১৫টি পূজামণ্ডপে তিন স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আজ সৈকতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হচ্ছে।

তিনি জানান, সমুদ্র সৈকতে বিজয়া দশমীর প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতেও নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। শুধু সৈকত এলাকায় প্রায় চারশ’ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৩
এসবি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।



[ad_2]
Source link