[ad_1]
বরিশাল: দেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হামুন। উপকূলীয় এলাকার সাগর ও নদী তীরবর্তী অঞ্চলে সতর্কতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) স্বেচ্ছাসেবকরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসের তথ্যানুযায়ী ঘূর্ণিঝড় হামুন বর্তমান অবস্থান থেকে আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর নাগাদ ভোলার কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল দিয়ে অতিক্রম করতে পারে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় হামুনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বরিশালে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হয়েছে।
বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে সভায় জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, জানমালের ক্ষতি এড়াতে এরই মধ্যে জনগণকে সচেতন করার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বরিশাল জেলার ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বরিশাল জেলায় ৬১ মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও দুর্যোগ মোকাবিলায় তাৎক্ষণিক ৩২২ মেট্রিক টন চাল মজুদ রাখা হয়েছে। অসহায় দুর্গতদের তাৎক্ষণিক খাদ্য সরবরাহের জন্য ৭৭০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ নয় লাখ ৩৬ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের মজুদ রয়েছে।
যদিও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) বরিশালের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন মিয়া জানিয়েছেন, দিনের বেলা হওয়ায় বর্তমানে বরিশাল বিভাগের এক হাজার ৮৪৫টি সাইক্লোন-শেল্টারে কেউ আশ্রয় নেওয়ার খবর নেই। তবে আবহাওয়ার অবনতি ঘটলে সন্ধ্যার মধ্যেই আশ্রয়কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের নিয়ে আসার জোড়ালো কার্যক্রম চালানো হবে।
তিনি বলেন, যে কোনো ধরনের উদ্ধার কাজে বরিশাল বিভাগের পাঁচ জেলায় ৩২ হাজার ৫০০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন।
এছাড়া বিভাগে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) দেড় হাজারের অধিক স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে বৃষ্টি না হলেও বরিশালের আকাশে মেঘ ও মৃদু বাতাস বইছে। নদ-নদীতে পানি বেড়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে আকস্মিক লঞ্চ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন।
নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ বরিশালের সহকারী পরিচালক রিয়াদ হোসেন বলেন, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অভ্যন্তরীণ ও ঢাকা-বরিশাল রুটের সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিটি স্থানে মাইকিংয়ের মাধ্যমে মাছ ধরার নৌকা, যাত্রীবাহী ট্রলারসহ সবাইকে নিরাপদে যেতে বলা হয়েছে। লঞ্চগুলো নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নোঙর করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার আগ পর্যন্ত সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে গেলে লঞ্চগুলো চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৩
এমএস/আরআইএস
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
[ad_2]
Source link