[ad_1]
চট্টগ্রাম: শারদীয় দুর্গাপূজার মহানবমী তিথিতে মা দুর্গা পূজিত হয়েছেন দেবী সিদ্ধিদাত্রী রূপে। শাস্ত্রে আছে, দেবী এই রূপে ভক্তদের পার্থিব আকাঙ্ক্ষা পূরণ এবং অজ্ঞানতা দূর করে জ্ঞান দান করেন।
নবরাত্রির নবম বা শেষ তিথি এই মহানবমী।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) সূর্যোদয়ের পর মহানবমী কল্পারম্ভ শুরু হয়ে পূর্বাহ্ন সকাল ৯টা ৫৭ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের মধ্যে মায়ের পূজা সম্পন্ন হয়।
এরপর পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করেন পূজার্থীরা। শেষে মহাষ্টমী ব্রত পালনকারীরা পারণ (নৈবেদ্য আস্বাদন) করেন।
কালিকাপুরাণে বলা হয়েছে, বিভূতি লাভের জন্য নবমী তিথিতে যথাবিধি বলিদান এবং জপ ও হোম করা কর্তব্য। এক্ষেত্রে ষড়ঋপুর প্রতীক হিসেবে যেকোনও ফল কাটা হয়, চণ্ডীপাঠ করা হয়। ১০৮টি বেল পাতা, আম কাঠ, ঘি দিয়ে যজ্ঞের মাধ্যমে দেবীদুর্গার উদ্দেশ্যে আহুতি দেওয়া হয়। এই পূজার ৭টি কল্প বিহিত আছে। সামর্থ্যানুসারে যে কোনও কল্পে পূজা করা হয়। ভাদ্রমাসের কৃষ্ণানবমী হতে আশ্বিন মাসের মহানবমী পর্যন্ত যে পূজা করা হয়, তাকে নবম্যাদি কল্প বলে। আশ্বিন মাসের শুক্ল প্রতিপদ হতে মহানবমী পর্যন্ত যে পূজা করা হয়, তাকে প্রতিপদাদি কল্প, আশ্বিন শুক্লাষষ্ঠী হতে মহানবমী পর্যন্ত ষষ্ঠ্যাদি কল্প এবং মহানবমীর দিন হয় নবমীকল্প। মহাষ্টমী পরবর্তী নবমী হলো সর্বলোক পূজনীয়া মহামায়ার ‘মহানবমী’ পূজার তিথি।
নগরের সবগুলো মণ্ডপে এমন আচার পালন করা না গেলেও চট্টগ্রাম রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রম, চট্টেশ্বরী কালী মন্দির, জেএম সেন হল পূজামণ্ডপ, কৈবল্যধাম সহ পারিবারিক আয়োজনে শাস্ত্রীয় বিধি মেনে ‘মহানবমী’ পূজা সম্পন্ন হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরিষদের একাধিক টিম নগরের সবগুলো পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করছে প্রতিদিন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৩
এসি/টিসি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
[ad_2]
Source link