[ad_1]
ঢাকা: জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, নির্বাচন ও পূজা পার্বন এলেই দুটি দল সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার ধুয়া তুলে রাজনীতি করে। পক্ষান্তরে, তারা সংখ্যালঘূদের আতঙ্কের মধ্যে রাখে।
ভয় দেখিয়ে সংখ্যালঘুদের কাছে রাখতে নোংরা রাজনীতি চলছে।
রোববার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সুধি সমাবেশে এ কথা বলেন জাপা চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, সম্প্রতি একটি দলের এক বড় নেতা বলেছেন, নির্বাচনের আগে অমুক দল সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করতে পারে। তাই আমাদের নেতাকর্মীরা সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর ও উপাসনালয়ে পাহারা দেবে। অপর দলটির আরেক বড় নেতা বলেছেন, অমুক দল সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করে আমাদের নামে মামলা দেওয়ার চক্রান্ত করছে। এতেও সংখ্যালঘুদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আসলে দুটি দলই সংখ্যালঘুদের ভয় দেখায়। এমন বার্তায় সংখ্যালঘুদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভীতি ছড়ানোর কারণে স্বাভাবিক পূজার পরিবেশ নষ্ট হয়। কেন একটি জাতির ধর্মকে ব্যবহার করে তাদের নিচু করে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে হবে? আমরা এর নিন্দা জানাচ্ছি।
জি এম কাদের আরও বলেন, আমরা সংখ্যালঘুদের ভয় দেখাই না, তাদের নিরাপত্তা পূঁজি করে রাজনীতি করি না। জাপার কোনো নেতার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু নির্যাতন ও সম্পদ দখলের অভিযোগ নেই। জাপাই সংখ্যালঘু বান্ধব রাজনৈতিক শক্তি। আমরা সাম্প্রতিকতায় বিশ্বাস করি না। আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। সরকারি চাকরি বা সুযোগ সুবিধায় কোনো বৈষম্য করা যাবে না। এ দেশে সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই। এদেশের সবাই বাংলাদেশি। ধর্মের কারণে কেউ অধিকার বঞ্চিত হলে সেই সমাজকে আমরা সভ্য বলতে পারি না। হিন্দু সম্প্রদায়ের কেউ যেন এই দেশ ছেড়ে যাওয়ার চিন্তা না করে সেই অবস্থা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের। আমরা সবার স্বার্থ নিশ্চিত করতেই রাজনীতি করি।
এ সময় জাপার কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি বলেছেন, এ দেশ আমাদের সবার। এ দেশে কোনো বিভেদ চলবে না। জাপা সংখ্যালঘুদের সব অধিকার রক্ষায় সোচ্চার আছে। আমরা সব সময় তাদের পাশে থাকব।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাপার কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মণীন্দ্র কুমার রায়।
এ সময় পার্টি চেয়ারম্যানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান তারেক এ আদেল, সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল দাস, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম মিন্টু, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে, শারফুদ্দীন শিপু, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় সদস্য মো. রেজাউল করিম, মো. শাহজাহান মিয়া, ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ, মো. মাসুম চৌধুরী, শামীম আরা সুলতানা রীমা, প্রিয়াঙ্কা সুকুল।
বাংলাদেশ সময়: ০২২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৩
এসএমএকে/এসআরএস
[ad_2]
Source link