[ad_1]
বগুড়া: বগুড়ায় স্ত্রীকে হত্যার ১২ বছর পর মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জিয়াউর রহমান জিয়া (৩৭) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রোববার (২২ অক্টোবর) দুপুরে বগুড়া র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেনের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃত জিয়াউর বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার শোলাগাড়ী এলাকার তোজাম্মেল হকের ছেলে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১১ সালে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন জিয়া। পরে নিহতের বাবা লতিফুল বারী বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। বিচার শেষে আদালত ২০২৩ সালের আগস্টে জিয়ার মৃত্যুদণ্ড দেন।
ওই মামলায় জিয়া তিন বছর চার মাস জেল খেটে জামিনে বের হন। এরপর ভারতে পালিয়ে চলে যান। সেখানে ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে থাকেন। আট মাস পর জিয়া ভারতে তামিল ভাষা রপ্ত করেন। এরপর তিনি ভারত থেকে পাসপোর্ট ও ভিসা সংগ্রহ করে দুবাই (সংযুক্ত আরব আমিরাত) চলে যান। দুবাই থেকে ছয় মাস পর বাংলাদেশে ফিরে এসে গাজীপুর সূত্রাপুর এলাকায় আবার বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিনি আত্মগোপন করে ছদ্মবেশে সংসার করতে থাকেন। জিয়া গ্রেপ্তার এড়াতে সবার অজান্তে সূত্রাপুরে কসমেটিকস ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন গার্মেন্টসে চাকরি করতেন।
এদিকে জিয়া সবার অজান্তে দালালের মাধ্যমে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পাসপোর্ট প্রস্তত করে এবং রোববার তার মালয়েশিয়া যাওয়ার বিমানের ফ্লাইট ছিল। জিয়া মামলার সাজা হতে পরিত্রাণ পেতে স্থানীয় আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশী হতে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে বিভিন্ন কৌশলে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিল। শনিবার (২১ অক্টোবর) দিনগত রাতে গাজীপুরের মির্জাপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মনির হোসেন জানান, পলাতক ওই আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার পর থেকেই র্যাব তার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। একপর্যায়ে তার পরিচয় নিশ্চিত হলে শনিবার রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে শিবগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়। থানা পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২৩
কেইউএ/এএটি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
[ad_2]
Source link