গবেষণায় শ্রমিকপ্রতি ৫০০ টাকার কম ব্যয় হয়: Somoybulletin

[ad_1]

ঢাকা: অধিকাংশ শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গবেষণায় শ্রমিকপ্রতি বছরে ৫০০ টাকারও কম ব্যয় হয়। গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো ব্যয় করতে চায় না।

কিন্তু, রপ্তানি আয় বাড়াতে হলে উৎপাদনের ক্ষেত্রে উচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে; সঙ্গে রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানোর কাজটিও দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে।

রোববার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘টেকনোলজি ইউজ ইন দ্য ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সংলাপ অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ। এখন যেমন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ না করলে ও ভালো মানের গবেষণা না হলে আমরা পিছিয়ে পড়ব। এখনো অনেক ক্ষেত্রে সঠিক বিনিয়োগ হচ্ছে না। বৈদেশিক বিনিয়োগ সেভাবে আসছে না। অনেক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সরকারি মালিকানার কয়েকটি শিল্প বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। কারণ, প্রযুক্তি দরকার। বেসরকারি খাতে গেলে এটা ভালোভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন,  এজন্য দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দায়িত্ব নিতে হবে। প্রযুক্তিনির্ভর একটা শিল্প কাঠামো গড়ে তুলতে দক্ষ জনবল প্রয়োজন।

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিএমসিসিআই) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির বলেন, মেগা প্রকল্পে যেসব প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহার হয়েছে বা এখনো হচ্ছে, তার ছিটেফোঁটা কাজ যদি দেশের কোম্পানিগুলো পেত, তাহলে এখানকার কোম্পানিগুলো দাঁড়িয়ে যেত। বলছি না যে বিদেশ থেকে প্রযুক্তি আনা যাবে না। তবে এসব প্রকল্প যখন শুরু হয়, তখন চুক্তিতে ন্যূনতম ৬০ শতাংশ স্থানীয় মূল্য সংযোজনের শর্ত দেওয়া উচিত ছিল।

সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা ফেলো সৈয়দ ইউসুফ সাদাত। তিনি বলেন, শিল্প খাতে উচ্চ প্রযুক্তির ব্যবহারের জন্য ভালো মানের গবেষণা ও উদ্ভাবন প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর এ খাতে ব্যয় করার প্রবণতা খুব কম।

তিনি আরও বলেন, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের আকারের ভিত্তিতে দেখলে এই পরিস্থিতি আরও স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। আমাদের দেশের বড় শিল্পের মাত্র ৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগ করেছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে এই বিনিয়োগ যথাক্রমে ২ ও ১ শতাংশ। বিষয়টি আমাদের শিল্প খাতের জন্য অশনিসংকেত।

সভাপতির বক্তব্যে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য শিল্প খাতে উচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে যেভাবে বিপ্লব হয়ে যাচ্ছে, তাতে এর সঙ্গে তাল মেলাতে না পারলে আমরা পিছিয়ে পড়ব।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইউনাইটেড নেশনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইউএনআইডিও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি জাকি উজ জামান, ঊর্মি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ আশরাফ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২৩
এমকে/এমজেএফ



[ad_2]
Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *