[ad_1]
ঝালকাঠি: একটি শিশুর জন্মের পর তার বাবা-মায়ের কাছে বেড়ে উঠে। কিন্তু বাবা-মা বেঁচে নেই এই বিষয়টিই জানে না সাত মাস বয়সী শিশু হোসাইন মোহাম্মদ।
বাবা মা ও বোনকে হারিয়ে ফুফু নাসরিন আক্তারের কাছে দিন কাটছে তার। এখন ওই শিশুর বাবা-মা কিংবা পরিবার সবকিছুই ফুফু নাসরিন। ইতোমধ্যে অনেকেই শিশুটির দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে শিশু হোসাইন মোহাম্মদকে নিজেদের কাছে রেখেই বড় করতে চান দাদা ও ফুফু।
শনিবার (২১ অক্টোবর) সকালে শহরের টিঅ্যান্ডটি রোডে তাদের ভাড়া বাসায় গিয়ে কথা হয় দাদা নাসির হাওলাদার ও ফুফু নাসরিন আক্তারের সঙ্গে। তখন তারা নিজেদের কাছে রেখে লালন-পালন করার কথা জানান।
ফুফু নাসরিন আক্তার জানান, এই বয়সে সে বাবা-মায়ের বুকে থাকার কথা। কিন্তু আল্লাহ ওকে এতিম করে দিয়েছে। এখন আমিই ওর বাবা, আমিই ওর মা। ওর বাবার ইচ্ছে ছিল ওকে মাদরাসায় পড়ানোর। ও একটু বড় হলে আমার কাছেই রেখে যেত। আমি ওকে মাদরাসায় পড়াব। ওর বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই।
দাদা নাসির উদ্দীন হাওলাদার বলেন, আমি অসুস্থ হওয়ার কারণে কোনো কাজ করতে পারি না। ওর খরচ চালাতে কষ্ট হলেও আমি আমার বুকের মানিককে আমার কাছে রাখব। আমার দুই ছেলে, এক মেয়ে। মারা যাওয়া মিজান মেজো। চার বছর ধরে সে ঢাকা থাকত। সে লেবুর শরবত ও জুস বিক্রি করে সংসার চালাত। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ ঘটনার বিচার চাই।
উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর মিরপুরে কমার্স কলেজ সংলগ্ন এলাকায় রাতে বৃষ্টিতে ডুবে যাওয়া রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজন নিহত হন। তারা হলেন মো. মিজান হাওলাদার (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা বেগম (২৫) ও মেয়ে লিমা আক্তার (৭)। এসময় সাত মাস বয়সী ছেলে হোসাইনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ অনিক (২০) নামের আরেক তরুণের মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২৩
এসআইএ
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
[ad_2]
Source link