গারো সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়ানোর Somoybulletin

[ad_1]

ঢাকা: গারো সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সিটির মেয়র হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই, ঢাকা শহরে আপনাদের সার্বিক নিরাপত্তার যদি কোনো ধরনের সমস্যা হয় তাহলে সিটি করপোরেশনের দরজা সব সময় আপনাদের জন্য খোলা থাকবে।

সিটি করপোরেশন আপনাদের পাশে ২৪ ঘণ্টা থাকবে।

শনিবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে বনানী বিদ্যা নিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে গারো সম্প্রদায়ের উৎসব ‘ঢাকা ওয়ানগালা ২০২৩’ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সিটি করপোরেশনের যেসব হলগুলো আছে সেখানে ওয়ানগালার অনুষ্ঠান করতে কোনো ধরনের পয়সা দেওয়া লাগবে না। আপনারা প্রোগ্রাম করবেন সেখানে এসি ভাড়া দিতে হবে না, হল ভাড়া দিতে হবে না, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।  

তিনি বলেন, আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন আমাদের ধর্ম যার যার কিন্তু উৎসব সবার। তাইতো আজকে এ সুন্দর পরিবেশে গাড়োরা ওয়ানগালা প্রোগ্রাম করছেন। যেখানে মাঠের একপাশে ওয়ানগালা অন্যপাশে পূজার উৎসব চলছে।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা কি চাই? আমরা চাই একটি দেশ, একটি শহর যেখানে সবাই মিলে আমরা থাকবো। যেটা হবে একটা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। আমরা দেখেছি বিএনপির সময় জামায়াতে ইসলামী কীভাবে একটি সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ তৈরি করেছিল।

গারো সম্প্রদায়ের উদ্দেশে মেয়র আতিকুল বলেন, কোভিডের সময় আপনারা ওয়ানগালা সবাই দেখেছেন আমি প্রত্যেকের পাশে ছিলাম। আমাদের জাকির হোসেন বাবুল বলেছেন কোন কোন জায়গায় আমাদের কি কি সমস্যা।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব সময় সব সম্প্রদায়ের পাশে থাকেন। তাই আসুন আমরা আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও নির্বাচিত করে নৌকার ধারা অব্যাহত রাখবো।

এ সময় মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে একটি সংগীত পরিবেশন করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) অধ্যাপক এ আরাফাত, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি ডিরেক্টর খুরশিদ আলম প্রমুখ।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ঢাকায় বসবাসরত গারো সম্প্রদায়ের লোকজন রাজধানীর বনানীর বিদ্যানিকেতন স্কুল মাঠে দিনব্যাপী পূজা-অর্চনা করে নেচে-গেয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করেছে গারোদের সব চেয়ে বড় সাংস্কৃতিক উৎসব ওয়ানগালা।

দেবতার উদ্দেশে ফসল উৎসর্গ এবং পূজার মাধ্যমে শুরু হয় এ উৎসব।

‘ওয়ানচি থক্কা’, ‘রুগালা’, ‘শশত সাত্তার’, ‘আমুয়া’র মতো গারোদের আদি ধর্মীয় আচার পালন করা হয় এ উৎসবে। পরে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে ঐতিহ্যবাহী জুম নাচ, নিজ ভাষায় গান ও গারো নাচ পরিবেশন করেন শিল্পীরা।

প্রসঙ্গত, আদি সাংসারেক গারো জাতিগোষ্ঠীর প্রধান ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসব হচ্ছে ওয়ানগালা। ওয়ানগালা উৎসবকে কেন্দ্র করে যেমন প্রত্যেক গারো গ্রামগুলো উৎসবমুখর হয়ে ওঠে তেমনি নব্বই দশক থেকে রাজধানী ঢাকাতেও বর্ণিলভাবে উদযাপিত হয়ে আসছে ওয়ানগালা। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর এ কয়েক মাস ওয়ানগালাকে কেন্দ্র করে চলে নানা প্রস্তুতি, চলে সাংস্কৃতিক মহড়া। ঢাকা শহরের যে এলাকাগুলোতে গারো জনগোষ্ঠী বসবাস করেন সেই এলাকাগুলো হয়ে ওঠে কর্মচঞ্চল ও উৎসবমুখর।

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২৩
ইএসএস/আরআইএস



[ad_2]
Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *