জিম্মি মার্কিন মা-মেয়েকে মুক্তি দিল হামাস Somoybulletin

[ad_1]

ফিলিস্তিনে অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় ১৩ দিন জিম্মি থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেলেন মার্কিন নারী জুডিথ তাই রানান (৫৯) ও তার মেয়ে নাতালি রানান (১৭)।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (২০ অক্টোবর) মা-মেয়েকে মুক্তি দেয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।

গাজা উপত্যকা সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয় তাদের। খবর রয়টার্সের

এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ এল-দ্বীন আল-কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা।

এর কিছু পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ও বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে।  

তারা জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামাসের হাতে বন্দি ছিল জুডিথ ও তার মেয়ে নাতালি রানান। মুক্তি পাওয়ার পর তারা দুজনে শুক্রবার গভীর রাতে ইসরায়েলে পৌঁছান। এরপর তাদের রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয়।  

জুডিথ ও নাতালি রানান দ্বৈত আমেরিকান-ইসরাইলি নাগরিক।

এদিকে দুই আমেরিকান-ইসরাইলি নাগরিককে মুক্তির বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে হামাস।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার ফ্যাসিবাদী প্রশাসনের দাবিগুলোকে মিথ্যা প্রমাণেই তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস।

টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া সেই বিবৃতিতে হামাস আরও জানিয়েছে, কাতারের প্রচেষ্টায় আল-কাসাম ব্রিগেডস মানবিক কারণে দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আমেরিকার জনগণ এবং বিশ্ব জানুক বাইডেনের দাবিগুলো ভিত্তিহীন।

মেয়ে ও স্ত্রীর মুক্তির খবরে বেশ খুশি নাতালির বাবা উরি রানান।  

তিনি জানিয়েছেন, ফোনে মেয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে তার। মেয়েকে খুব ভালো ও খুব উচ্ছ্বসিত শোনাচ্ছিল ফোনে।

নাতালির চাচা আব্রাহাম জমির বলেছেন, দুই স্বজনকে নিরাপদে ছেড়ে দেওয়ায় তাদের পরিবারে আনন্দের বন্যা বইছে। তবে এখনও অনেক পরিবারের প্রিয়জনকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে এবং তাদের মুক্তির জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।  

মা জুডিথের জন্মদিন উদ্‌যাপন করতে ইসরায়েলে অবস্থান করছিলেন নাতালি। সবেমাত্র হাইস্কুল পাস করেছে সে। তার মা একজন শিল্পী এবং শিকাগো এলাকার বেশ কয়েকটি হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতেন। ইসরায়েলি খাবারের দক্ষ রাঁধুনি তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২৩
এসএএইচ 



[ad_2]
Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *