[ad_1]
চট্টগ্রাম: সারাদেশে এখন উৎসবের আমেজ। ঢাক-ঢোল কাঁসা এবং শঙ্খের আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন পূজামণ্ডপ।
বছরব্যাপী অপেক্ষার প্রহর শেষ করে ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পাঁচদিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব।
ষষ্ঠীতে কল্পারম্ভ এবং দেবী দুর্গার বোধন ও অধিবাস শেষে মাতৃরূপে পূজায় কৈলাস ছেড়ে মর্ত্যে আসা দেবী দুর্গাকে বরণ করেন ভক্তরা।
হিন্দুধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, অশুভ শক্তির অধিকারী রাবনকে বধ করতে অসময়ে পূজা করেছিলেন শ্রীরামচন্দ্র। ব্রহ্মার আবাহনে আবির্ভূত হয়েছিলেন দেবী দুর্গা। শরৎকালে শ্রীরামচন্দ্রের বোধনে অসুর বিনাশে সাড়া দিয়েছিলেন বলেই এই পূজাকে বলা হয় অকাল বোধন, মানে অসময়ে দেবীর জাগরণ।
পুরাণে আছে, অসুর শক্তির কাছে পরাভূত দেবতারা স্বর্গলোকচ্যুত হয়েছিলেন। এই অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে একত্র হন দেবতারা। অসুর শক্তির বিনাশে অনুভূত হলো এক মহাশক্তির আবির্ভাব। দেবতাদের তেজরশ্মি থেকে আবির্ভূত হলেন অসুরবিনাশী দেবী দুর্গা।
নগরের জেএমসেন হল, রাজাপুর লেইন, দেওয়াজীপুকুর পাড়, সদরঘাট, চট্টেশ্বরী এলাকার পূজামণ্ডপগুলো ধূপ-আগরবাতির গন্ধে সুবাসিত। ভক্তরা মেতে উঠছেন দেবীর আরাধনায়। পূজামণ্ডপ মুখরিত চণ্ডীপাঠে।
চট্টেশ্বরী কালী মন্দিরের সেবায়েত দেবু প্রসাদ চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, কল্পারম্ভ দিয়ে শুরু হয় বোধন পর্ব। ঘট ও জলপূর্ণ তামার পাত্র মণ্ডপের কোণে স্থাপন করে মায়ের পূজা করা হয়। কৈলাস থেকে মর্ত্যে আসা মা’কে শাস্ত্রীয় আচার মেনে বরণ করে নেওয়া হয়।
দুর্গোৎসবের দ্বিতীয় দিন শনিবার (২১ অক্টোবর) সপ্তমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে। রোববার মহাঅষ্টমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে এবং বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। সন্ধিপূজা শুরু হবে রাত ৮টা ৬ মিনিটে। সোমবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে শুরু হবে মহানবমী পূজা। পরদিন মঙ্গলবার বিজয়া দশমী পূজা শুরু সকাল ৬টা ৩০মিনিটে। পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন হবে সকাল ৯টা ৪৯ মিনিটের মধ্যে। সন্ধ্যায় আরাত্রিকের পর প্রতিমা বিসর্জন ও শান্তিজল গ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবের।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২৩
পিডি/টিসি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
[ad_2]
Source link