[ad_1]
ঢাকা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট পর্দার অভিনেত্রী শায়লা সাথীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মেহেদী হাসান সৈকতকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
ভুক্তভোগী শায়লা সাথী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। অভিযুক্ত সৈকত ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
শুক্রবার সৈকতকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে কোতয়ালী থানা পুলিশ। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে, কোতয়ালী থানায় সৈকতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন জবি শিক্ষার্থী শায়লা সাথী।
মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, আসামি সৈকত ২০১৯- ২০২০ সেশনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর একদিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নিজের পরিচয় দিয়ে তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। তিনি তার কথার উত্তর না দিয়ে ক্লাসে চলে যান। এরপর সৈকত জুনিয়র হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন সময় তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি কোনো পাত্তা দেননি।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপলক্ষে দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যান শায়লা। ক্যাম্পাসের ‘শান্ত চত্বরে’ অবস্থানকালে সৈকত পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশে শায়লার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেন।
ঘটনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ জানান তিনি।
পরবর্তীতে কোতয়ালী থানা পুলিশ ডেকে ওই শিক্ষার্থীকে তুলে দেয় প্রক্টর অফিস। আটকের পর তিনি তার নাম ঠিকানা জানান। এ সময় প্রক্টর এবং থানা পুলিশের সামনে ওই শিক্ষার্থী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে।
আরও পড়ুন >> জবিতে অভিনেত্রী শায়লাকে নিপীড়নের অভিযোগে শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২৩
কেআই/এসএএইচ
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
[ad_2]
Source link