[ad_1]
সাতক্ষীরা: ‘সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রতিটি পরিবারকে এখন পানি কিনে খেতে হচ্ছে। উচ্চমূল্যের এই বাজারে পানি কিনে খাওয়া ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
পৌরসভা সরবরাহকৃত পানি খাওয়া তো দূরের কথা, এখন রান্না বা থালা বাসন ধোয়ার কাজেও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। পৌরসভার পানি খেলে পেটের পীড়ায় পরিবারের সকলেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। নতুন করে চিকিৎসার খরচে সর্বস্বান্ত হচ্ছে নিম্নআয়ের মানুষ। এরপরও পানি সব এলাকায় ঠিকমতো পৌঁছায় না। পৌঁছালেও তা ব্যবহারের অযোগ্য। ’
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সাতক্ষীরা শহরের নিম্ন আয়ের মানুষের সুপেয় পানির অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম আয়োজিত সংলাপে বক্তারা এভাবেই পানি নিয়ে তাদের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন।
শহরের ম্যানগ্রোভ সভাঘরে অনুষ্ঠিত সংলাপে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক আজাদ হোসেন বেলালের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বারসিক কর্মকর্তা গাজী মাহিদা মিজান। ধারণাপত্র পাঠ করেন সিনিয়র সাংবাদিক মিজানুর রহমান।
সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান।
আলোচনায় অংশ নেন সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, জেলা জাসদের সভাপতি ওবায়দুস সুলতান বাবলু, উন্নয়ন কর্মী মাধব দত্ত, সাংবাদিক গোলাম সরোয়ার, আসাদুজ্জামান, আহসানুর রাজীব, প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি কর্ন বিশ্বাস কেডি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সভাপতি এসএম হাবিবুল হাসান, আমরা বন্ধুর সদস্য মুশফিকুর রহমান, বদ্দীপুর কলোনির বাসিন্দা জাহানারা খাতুন, সুলতানপুর আতির বাগানের বাসিন্দা আশরাফ আলী, রাজার বাগান লিচুতলার তামান্না পারভীন, ইটাগাছার বাসিন্দা জাহানারা খাতুন, যুব সংগঠক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাতক্ষীরা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান বলেন, আমরা পৌরসভার সব এলাকায় পানি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। আগামী তিন মাসের মধ্যে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডেই পানির সমস্যা নিরসনের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৪২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২৩
এসএএইচ
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
[ad_2]
Source link