তিন মাসে রিজার্ভ কমেছে ২৬০ কোটি ৭০ লাখ ডলার Somoybulletin

[ad_1]

ঢাকা: দেশে নিট বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চায়ন বা রিজার্ভ এখন ২০ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তথা দুই হাজার ৯৫ কোটি ৭৮ লাখ ৮৪ হাজার ডলার।  

এবং গ্রস রিজার্ভ  ২৬ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তথা দুই হাজার ৬৬৮ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার।

অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ২৬০ কোটি ৭০ লাখ ডলার।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) উইকলি সিলেক্টেড অর্থনৈতিক ইন্ডিকেটরে এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।  

আগের দিন বুধবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশ ব্যাংকে এ রিজার্ভ ছিল।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী চলতি বছরের ১৩ জুলাই থেকে বিপিএম-৬ নিয়মে রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক।  

তখন বিপিএম-৬ অনুযায়ী, দেশে রিজার্ভ ছিল ২৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন (২ হাজার ৩৫৬ কোটি) ডলার।  

বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বশেষ যখন প্রতিবেদনে রিজার্ভের যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তাতে দেখা যায়, বুধবার (১৮ অক্টোবর) পর্যন্ত রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। তার মানে, তিন মাসের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ২৬০ কোটি ৭০ লাখ ডলার।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বর্তমান নেট রিজার্ভের কথা সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে চাইলে জানেন না বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।  

তিনি বলেন, নেট রিজার্ভ কত তা আমি নিজেও জানি না । তবে গ্রস রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার বলে উল্লেখ করেন তিনি।  

আইএমএফ রিজার্ভ সংরক্ষণে পরিমাণ কমিয়ে গুঞ্জনের মধ্যে প্রকৃত রিজার্ভের তথ্য এভাবেই এড়িয়ে যান বাংলাদেশে ব্যাংকের মুখপাত্র।  

একই সময়ে আলোচনায় ছিল নেট রিজার্ভের হিসাবায়নে শর্ত আরও কড়াকড়ি করছে আইএমএফ, দায়-দেনার অর্থ রিজার্ভ থেকে বাদ দিতে হবে। এ হিসাবে রিজার্ভের পরিমাণ ১৭ বিলিয়নের ঘরে।

বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে যে পরিমাণ প্রকৃত রিজার্ভ আছে, তা দিয়ে তিন মাসের আমদানি খরচ মেটানো সম্ভব। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে।

রিজার্ভ নিয়ে যখন সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে তখন রপ্তানিকারকদের বিরুদ্ধে ৯ বিলিয়ন ডলার বিদেশ থেকে না আনার অভিযোগ তোলা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে। এর ফলে একই সাথে রিজার্ভে নেতিবাচক প্রভার পড়ার পাশাপাশি ডলারের বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৩
জেডএ/এসএএইচ
 



[ad_2]
Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *